‘ইন্টারনেট সপ্তাহে’ নানা আয়োজন, ৫ সেপ্টেম্বর শুরু  

ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে দেশে প্রথমবারের মতো ‘ইন্টারনেট সপ্তাহ ২০১৫’ উদযাপন করবে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতাদের প্রতিষ্ঠান বেসিস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2015, 05:15 PM
Updated : 10 August 2015, 05:15 PM

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে এটি চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আয়োজনটিতে বেসিসের সঙ্গে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ ও গ্রামীণফোন। 

সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বেসিসের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।

পলক বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে উন্নয়নের জন্য সড়ক যোগাযোগ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি প্রয়োজন তথ্য গ্রহণের সুযোগ। এ আয়োজনটির সঙ্গে দেশের প্রত্যেককে সংযুক্ত করতে চাই।”

এ আয়োজনটি গতানুগতিকভাবে রাজধানী কেন্দ্রীক না রেখে ৪৮৭টি উপজেলাতেও ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই, ১৬ কোটি বাংলাদেশি ও ৪০ কোটি বাঙালিকে সংযুক্ত করতে।”

ইন্টারনেট সপ্তাহের বিস্তারিত তুলে ধরে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, ওয়েব পোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানি, মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে কয়েকটি কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ইন্টারনেট সপ্তাহের কেন্দ্রীয় আয়োজনটি থাকবে রাজধানীর বনানী মাঠে। ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর নানকিন বাজারে এবং ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি প্রদর্শনী থাকবে।

এছাড়া দেশের ৪৮৭টি উপজেলাতে একযোগে আয়োজন চলবে বলেও জানান রাসেল।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়বে প্রবৃদ্ধির প্রবাহ তত বাড়বে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নাজেহাল করার বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে আমরা চিন্তিত। দেশে এখন প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি করে ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে সম্মানীয় অনেক ব্যক্তিকেই নাজেহাল করতে ফেইক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে।

“আমরা বিটিআরসি এর মাধ্যমে এ বিষয়ে কাজ করছি। কিন্তু মুসকিল হচ্ছে এমন কিছু একাউন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে দেশের বাহিরে থেকে।”

ফেইসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলেও জানান প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

‘ভারতে ব্যান্ড উইডথ রপ্তানিতে ক্ষতি নেই’  

দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের ঘাটতি নেই বলেও জানান তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির মোট ব্যান্ডউইডথের পরিমান ২০০ জিবিপিএস। এর মধ্যে তারা ব্যবহার করে মাত্র ৩২ জিবি। অন্যান্য বেসরকারি আইটিসি প্রতিষ্ঠানগুলো মিলিয়ে খরচ হয় ১২৫ জিবিপিএস। এর মধ্যে ১০ জিবিপিএস ভারতকে রপ্তানি করার একটি চুক্তি হয়েছে।”

এ পরিমান ব্যান্ড উইডথ রপ্তানিতে বাংলাদেশের কোন ঘাটতি হবে না বলে জানান পলক।

“২০১৬ সালে আমরা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হলে আরো এক হাজার তিনশ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাব। অর্থাৎ আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারি যদি দ্বিগুণও হয় তাতেও কোন সমস্যা হবে না।”

ব্যান্ডউইথ যেন নষ্ট না হয় এ জন্য দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ এমবিপিএস গতির ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পর্যায়ক্রমে ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রায় ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে একই গতির ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানান পলক।