শিশু রাকিব হত্যা: তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনায় মোটর গ্যারেজে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে শিশু মো. রাকিবকে হত্যার ঘটনায় জনতার হাতে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ছেলেটির বাবা। 

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2015, 05:53 AM
Updated : 6 August 2015, 05:42 AM

খুলনা সদর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, নিহত রাকিবের বাবা নুরুল আলম মঙ্গলবার সকালে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার তিন আসামি হলেন- গ্যারেজ মালিক শরীফ (৩৫), তার দূর সম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়া (৪০), এবং শরীফের মা বিউটি বেগম (৫৫)।

সিলেটে রাজন হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই সোমবার রাতে খুলনার টুটপাড়া এলাকার ওই গ্যারেজে মলদ্বারে পাইপের মাধ্যমে হাওয়া ঢুকিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় ১২ বছরের রাকিবকে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ওই তিনজনকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

ওসি বলেন, “খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাকিবের লাশের ময়নতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

খুলনা মহানগর পুলিশ কার্যালয়।

দিনমজুর আলমের ছেলে রাকিব টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের কবরস্থানের কাছে শরীফের মোটর সাইকেল ওয়ার্কশপ ‘শরীফ মোটরসে’ কাজ করত। কিছুদিন আগে সে ওই গ্যারেজ ছেড়ে পিটিআই মোড়ে আরেকটি গ্যারেজে কাজ নিলে মিন্টু মিয়া ক্ষুব্ধ হয়।

ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, “রাতে গ্যারেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রাকিবকে ডেকে নেয় মিন্টু। এক পর্যায়ে শিশুটিকে বিবস্ত্র করে তার মলদ্বারে টায়ারে হাওয়া দেওয়ার পাইপ ঢুকিয়ে দেয়। এতে রাকিবের পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ফেঁপে ওঠে।”

এতে রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে মিন্টু ও শরীফ পেটে চাপ দিয়ে বাতাস বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর তারা শিশুটিকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাকিবকে নেওয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পরপরই রাকিব মারা যায়।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি সুকুমার বলেন, “রাকিবের শরীরের অস্বাভাবিক পরিমাণ হাওয়া প্রবেশ করানোর কারণে তার পেটের নাড়িভুড়ি ছিঁড়ে যায়, ফুসফুস ফেটে যায়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়ায় সে মারা যায়।”