রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভোটার তালিকা হালনাগাদে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি সংশ্লিষ্টদের এই পরামর্শ দেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, “কোনোভাবেই যাতে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে কাজ করলে এটা সম্ভব।”
ভোটার তালিকায় নারীরা কেন কম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন, তার কারণ উদঘাটন করে ব্যবস্থা নিতেও বলেন তিনি।
“জেলা প্রশাসকরা এক্ষেত্রে শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের পরিবারে প্রচারপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। তালিকায় নারীদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে।”
সভায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্যের বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্টগ্রামে ২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী ও মিরসরাই এ সাত উপজেলায়।
৯ অগাস্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ শেষে ১১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্যদাতাদের ছবি তোলা হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ অগাস্ট থেকে সন্দ্বীপ, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি এ সাত উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এসব উপজেলায় ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ শেষে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছবি তোলা হবে।
তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নগরীতে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়ে চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নগরীর ভোটারদের ছবি তোলা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।
এবার হালনাগাদে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সবাইকে আইডি কার্ড দেয়া হবে। তবে ভোটার তালিকাভুক্ত করা হবে শুধুমাত্র ১৮ বছর বয়সীদের।
রোববারের সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর মন্ডল, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, বান্দরবাজের জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বিভোর কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।