ঢাকা, অক্টোবর ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পিলখানা হত্যামামলার জেরা চলাকালে একজন আসামির চিরকুট নিয়ে বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হট্টগোল হয়।
এ কারণে প্রায় ১০ মিনিট আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
বিচারক এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় ৪৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) পরিচালক কর্নেল শামসুল আলম চৌধুরীকে (কর্নেল শামস) আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একজন আসামি একটি চিরকুট তাদের আইনজীবীর কাছে ছঁড়ে দিলে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা তা নিয়ে নেন। এ সময় আসামিরা আদালতে হৈচৈ শুরু করলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ভারপ্রাপ্ত জজ আখতারুজ্জামান বিষয়টি দেখার জন্য সরকার পক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলকে বলেন। কাজল যাওয়া মাত্রই আসামিরা তাদের ওপর কারা কর্মকর্তাদের অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে ধরেন।
আসামিরা জানান, কারা কর্তৃপক্ষ গোসলের পানি দেয় না। খাওয়ার পানিও দিনে চার লিটারের বেশি দেয় না। তাছাড়া তাদের ২৪ ঘণ্টা লকআপ ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়। এসব অভিযোগ লিখেই তারা তাদের আইনজীবীকে দিয়ে আদালতের কাছে উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল।
পরে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আসামিদের আশ্বস্ত করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তার কথায় আসামিরা কিছুটা নমনীয় হয়।
আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর আগের ধার্য তারিখের অসমাপ্ত জেরা শেষ করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সরকার। পরে তাকে জেরা করেন অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ, আতাউর রহমান, শাহীন সুলতানা, সুলতান মাহমুদ, এমদাদুল হক লাল।
তাদের জেরার মধ্য দিয়ে কর্ণেল সামসকে জেরা করা সম্পন্ন হলো। আগামী ধার্য তারিখে পাঁচ নম্বর সাক্ষী লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল মুকিম সরকারের সাক্ষ্য ও জেরা হবে।
গত ২৪ অগাস্ট এ মামলার সাক্ষ্য ও জেরা শুরু হয়। প্রথম সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী লালবাগ থানার সাবেক ওসি নবজ্যোতি খিসা। দ্বিতীয় সাক্ষ্য দেন নিউমার্কেট থানার সাবেক ওসি কামাল উদ্দিন। তৃতীয় সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন সিগন্যাল সেক্টরের সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবু তাসনিম। চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন কর্ণেল শামস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/পিডি/২৩৪৬ ঘ.