'২০১৩ সালের মধ্যে দস্তাসমৃদ্ধ ধান'

২০১৩ সালের মধ্যে কৃষকদের হাতে দস্তাসমৃদ্ধ নতুন জাতের ধানের বীজ তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিরি)।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2011, 06:38 AM
Updated : 11 May 2011, 06:38 AM
ঢাকা, মে ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ২০১৩ সালের মধ্যে কৃষকদের হাতে দস্তাসমৃদ্ধ নতুন জাতের ধানের বীজ তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিরি)।
বুধবার রাজধানীতে এক কর্মশালায় বিরির মহাপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, জিঙ্ক বা দস্তা মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান। শিশুদের শরীরে জিঙ্কের অভাব হলে তাদের শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
"তাই শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে জিঙ্কের অভাব পূরণ করতে জিঙ্কসমৃদ্ধ ধান উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা হারভেস্টপ্লাসের সহযোগিতায় বিরির গবেষকরা নতুন এ জাত উদ্ভাবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আব্দুল মান্নান জানান।
'অপুষ্টি মোকাবিলায় জিঙ্কসমৃদ্ধ ধান' শীর্ষক দুই দিনের এই কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই ধানের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দস্তার অভাবজনিত অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহাবুব হোসেন বলেন, নতুন জাতের এই বীজ আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্ত করার পর কীভাবে তা দ্রুত কৃষকের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা নিতে হবে।
বিরি ও ব্র্যাক আয়োজিত এ কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ওয়াইস কবির, বিরির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরআর/আরএ/জেকে/১৮২৭ ঘ.