খামারিদের শঙ্কা, আমদানির কারণে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের খামার বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়বে দেশ। তারা খাবার ও বাচ্চার দর স্থিতিশীল রাখার ওপর জোর দিচ্ছে।
Published : 11 Oct 2024, 01:35 AM
ভারত থেকে ডিম এনে বাজার ঠান্ডা করতে সরকারের চেষ্টার মধ্যে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠেছে, সেটি হল দুই দেশে দামে এত পার্থক্য কেন?
সেই পার্থক্যের একটি কারণ মুরগির বাচ্চা, খাবার ও ওষুধের দামের পার্থক্য- এই তথ্য জানিয়ে পোলট্রি শিল্প মালিকদের সংগঠনের প্রশ্ন, এ বিষয়ে উদ্যোগ না নিয়ে আমদানি কেন?
আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদে হিতে বিপরীত হয়ে খামার বন্ধ হয়ে যাবে- এমন শঙ্কার কথাও বলছে তারা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএর সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে দেশে লেয়ারের, অর্থাৎ ডিমের খামার রয়েছে ১৩ হাজার। আর গত দুই বছরে ছয় হাজারের মত খামার বন্ধ হয়েছে।
“আর আমদানি করার মানে হল ক্ষুদ্র খামার যা আছে, তাও বন্ধ করে দেওয়া। সরকার এটা করছে আমদানিকারক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দেওয়ার জন্য।”
ডিমের দুটি চালান নিয়ে আসা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার ‘হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন’ যে আমদানি মূল্যের দেখিয়েছে, তাতে কর পরিশোধের পরেও দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকা।
কিন্তু এই দরে দুটো চালানে ৪ লাখ ৬২ হাজার ডিমের প্রভাব দেশের বাজারে নগণ্য, উল্টো দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সরকার এবার চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
অর্থাৎ আমদানির প্রভাব সাধারণ ভোক্তারা পাচ্ছে না, ঢাকার দুটি পাইকারি আড়তের বিক্রেতারাও বলছেন সে কথা।
সামনে শীতকাল আসছে, ডিমের দাম এই সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কমে জানিয়ে পোলট্রি মালিকদের সংগঠনের পরামর্শ, মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম নিয়ে ‘কারসাজি’র দিকে মনযোগ দিন সরকার।
দেশে ডিমের দৈনিক চাহিদা কত, এই প্রশ্নে আবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে ৫ কোটির কথা, আর বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন বলছে ৪ কোটি। অন্যদিকে ভারত থেকে আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সাড়ে চার কোটি। অর্থাৎ ভারত থেকে আনা ডিমে চলবে এক দিন।
তেজগাঁওয়ে ডিম কিনতে যাওয়া মো. রাশিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতে ডিমের দাম ৭ টাকা (আসলে রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ টাকার মত। তবে কলকাতায় চলে সাদা ডিম, বাংলাদেশে চল লাল ডিমের)। সেখানে এত কম দাম, তাহলে আমাদের এখানে এত বেশি কেন? মুরগির ফিড তো একই। তাদের চেয়ে আমরা ভালো ফিড খাওয়াই বিষয়টি এমনও নয়।”
কিন্তু দাম বাড়ল কেন?
এবার দাম কি কমবে?- এই প্রশ্নের জবাব পেতে দাম এভাবে লাফিয়ে বাড়ার পেছনে কারণ অনুসন্ধানে এল বেশ কিছু বিষয়।
খামারি, ব্যবসায়ী একজন অর্থনীতিবিদের সঙ্গে কথা বলেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। এসব আলোচনায় উঠে এসেছে প্রথমত. খাবার ও বাচ্চার দাম বাড়ার কারণে অসংখ্য খামার বন্ধ রয়েছে, দ্বিতীয়ত. আবহাওয়াজনিত কারণে উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তৃতীয়ত, দেশের একটি বড় অংশে পাহাড়ি ঢলজনিত কারণে বন্যায় খামার ভেসে গেছে, চতুর্থত, বাজারে নানা ধরনের অপকৌশল।
বুধবার ডিমের ঢাকার আড়ৎ কাপ্তানবাজারে পাইকারিতে প্রতিটি ডিসের দাম ১৩ টাকা ২০ পয়সা শুনে গোপীবাগের বাসিন্দা মাসুদ রানা বিডিনিউজ টোয়েডিন্টফোর ডটকমকে মাসুদ বলেন, “এক খুচরা ব্যবসায়ীকে দেখলাম প্রায় ৫৩ টাকায় এক হালি ডিম কিনতে। এখন সে তো তার দোকানে ৬০ টাকা বিক্রি করবেই। পরিবহন খরচ ধরলে কমে বিক্রি করলে তারও পোষাবে না।”
তেজগাঁওয়ের পাইকারিতে বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, “ডিমের দাম বাড়ার কারণ হইল বিভিন্ন জেলায় বন্যা হওয়ায় ডিমের সংকট তৈরি হয়েছে।”
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, “লেয়ারের বাচ্চা কিনতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যে কোম্পানিগুলো বাচ্চা উৎপাদন করে তারা বাচ্চার দাম ৮৫ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত করে। আবার বাচ্চা পেতে ছয় মাস আগে অর্ডার দিয়ে পিছনে পিছনে ঘুরতে হয়। ফিডেরও দাম বেশি। এসব কারণে আমার এলাকায় অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের এসবে নজর দেওয়া খুবই দরকার।”
বন্যায় মোট ডিমের অন্তত ৩০ শতাংশ উৎপাদন কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই উৎপাদন না কমলে অন্তত সংকট তৈরি হত না। আর ব্রয়লারে যেমন এক দেড় মাসেও সংকট কাটানো যায়, কিন্তু লেয়ার বাচ্চা দেয়া শুরু করে পাঁচ-ছয় মাস পর। তাই ডিমের সংকট কাটাতে সময়ের প্রয়োজন।”
বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার আশা করছেন এক মাসের মধ্যে দাম কমে আসবে।
“নভেম্বরের শুরুতে একটা ডিম খামার পর্যায়ে ৮-৯ টাকায় চলে আসবে। কারণ, তখন বাজারে সবজি চলে আসলে ডিমের চাহিদা কমে যাবে”, বলেন তিনি।
উৎপাদন খরচ আসলে কত?
ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রিপন কুমার মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা হিসাব করা হোক যে সত্যিকারে উৎপাদন খরচ কত? এর আগে বলা হয়েছিল সাড়ে ৯ টাকা। কিন্তু বাস্তবে কত?
“একটা বড় অংশ ডিম নিয়ে কারসাজি করে। তাই আসলেই ডিমের উৎপাদন কত আর চাহিদা কত এটা আমাদের অজানা। ডিএলএস যেটা বলেছে যে একজন মানুষ বছরে গড়ে ১০৭ টা ডিম খাবে। বাস্তবে কিন্তু তা নয়।”
বন্যায় উৎপাদনের ক্ষতির কারণে দাম বেড়েছে- এই বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এখানে একটা চক্র সরাসরি যুক্ত রয়েছে। আর বন্যার প্রভাব কিছুটা আছে। তবে ডিম উৎপাদনের প্রধান জায়গা হচ্ছে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ। এসব জায়গা প্রভাব না হলে ডিমের দাম বাড়ার কথা না।
“১৭০ টাকা হওয়ার মত দেশে কিছু হয়নি। মূলত কোনো নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ডিমের বাজার সংকুচিত করা হচ্ছে, একটা চক্র দাম বাড়ানোর কাজ করছে। এসব জায়গায় হাত দিতে হবে।”
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন বা বিপিএর হিসাব বলছে, ডিম ও মুরগির উৎপাদনে ৭৫ শতাংশ খরচ খাবারের। ভারত ও বাংলাদেশে এই খরচের পার্থক্য অনেক বেশি জানিয়ে সংগঠনের নেতারা বলছেন, ফিডের দাম কমালেই কেবল ডিম ও মুরগির দাম কমানো সম্ভব।
বিপিএ সভাপতি বলেন, “ভারতে প্রতি কেজি ফিডের দাম বাংলাদেশে মুদ্রায় ৩৬ টাকা, আর আমাদের দেশে দাম ৬০ টাকা, প্রায় দ্বিগুণ। ভারতে বাচ্চার দাম ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা, আমাদের দেশে বর্তমানে ৮০ টাকা। কখনো সংকট দেখিয়ে ১২০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠে যায়।
“ভারতের তুলনায় আমাদের দেশে ওষুধের দামও তিনগুণ। এসব দিকে যদি সরকার কঠোর নজরদারি করে তাহলে ৮ টাকার নিচে ডিমের দাম আনা সম্ভব।”
আমদানিতে লাভ কার?
ফার্মগেটে ডিমের আড়ত মা-বাবার দোয়ার বিক্রেতা মো. বেলায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতের ডিম আমদানিতে দেশের বাজারে কোনো প্রভাব পড়ে না। তাহলে কী কারণে ভারতের ডিম আমদানি করা হয় সেটাও ভেবে পাই না।
“যারা আমদানি করে শুধু তাদের লাভটা হচ্ছে। এছাড়া আর কারও লাভ হচ্ছে না। দেশের যে খুব উপকার হয়ে যাচ্ছে বিষয়টি তাও না। ভারতের ডিম নাকি সাইজে ছোট, আর নষ্ট থাকে সেখান থেকে প্রক্রিয়া মেনে দেশে আসতে আসতে তো টাইম লাগে।”
ডিম আমদানিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন ফার্মগেটের মনিপুরিপাড়ার বাসিন্দা রাশিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “দৈনিক আমাদের যে ডিম প্রয়োজন সেটার কিছুটা ঘাটতি আছে বাজারে। আবার সিন্ডিকেট সক্রিয়। ডিম আমদানি করলে সিন্ডিকেট করার সুযোগ পাবে না। আবার অল্প হলেও ঘাটতি পূরণ হবে।”
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, “এখন সংকটের সময় ডিম আসছে। এতে সরবরাহ কিছু হলেও বাড়বে। এর প্রভাব বাজারে থাকে।”
২০২৩ সালের শেষে দাম বাড়ার পর দেড় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর হালি ৪০ টাকায় নেমে আসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই ৪০ থেকে ৫০ টাকা দাম ছিল দুই মাস। এরপর যখন সবাই দেখলো যে ডিম আর আসে না এরপর আবার ৫৫ টাকা হয়ে গেল।
“কাজেই ডিম যা আনার দ্রুত আনতে হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করে যদি ডিম না আসে তাহলে লাভ হবে না।”
তবে এখন পর্যন্ত আমদানিকারক ছাড়া ভোক্তারা কোনো লাভবান হয়নি- এই বিষয়ে একমত এই কৃষি অর্থনীতিবিদ।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার আমদানি নীতির কঠোর বিরোধী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমদানি করে এখন দেশের বাজারে প্রভাব পড়ছে না, তবে লাভ হচ্ছে করপোরেট কোম্পানি আর আমদানিকারকদের।
“পাঁচ টাকার ডিম এনে যদি ১০ টাকায় দেশের বাজারে বিক্রি করা হয় তাহলে লাভটা কার সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আর বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন খরচ কেন সাড়ে ১০ টাকা হবে তা বুঝে আসে না। ফিডের দাম কমালেই তো এখনই ডিমের দাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে।”
গত নভেম্বরে আমদানিতে প্রভাব পড়ার কারণ কী?
এবার আমদানির দুই চালানে বাজারে প্রভাব না থাকলেও ২০২৩ সালের নভেম্বরের ভারত থেকে ৬২ হাজার ডিমের একটি চালান আসার পর পাইকারিতে প্রতিটি ডিমের দাম তাৎক্ষণিকভাবে ৮০ পয়সা কমে গিয়েছিল। এরপর টানা দাম কমতে থাকে, এক পর্যায়ে ডজন ১২০ টাকার আশেপাশে নেমে আসে।
সে বছর দেড় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি থাকলেও একটি চালানের পর দেশে আর ডিম ঢোকেনি।
এবার কেন দাম কমেনি- এ প্রশ্নে ব্যবসায়ীরা বললেন, শীতে ডিমের দাম পড়তি থাকে। সেটি ছিল নভেম্বরে দাম কমার একটি কারণ। আর এখন সরকার পতনের পর সময়টা অস্থির, এখানে বাজার থেকে শুরু করে কোনো কিছুই স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।
বিপিএ সভাপতি সুমন হালদার এই প্রশ্নে বলেন, শীতে ডিমের চাহিদা কম থাকে সবজির সরবরাহ বাড়ার কারণে। তখন দাম কমে। এই ঘটনাটিই ঘটেছিল গত বছর।
তার মতে সামনে ডিমের দাম এমনিতেই কমবে। এটা আমদানির জন্য না। কারণ, শীতে ডিমের দাম ‘এমনিতেই কমে।’
আমদানি খরচ কত
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডিমের দুটি চালান এসেছে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে, প্রথমটি গত ৯ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয়টি ৬ অক্টোবর।
দুটি চালানই এনেছে ঢাকার ‘হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন’নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের পক্ষে চালানটি ছাড় করিয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
ডিমগুলো কেনা হয়েছে ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার' নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে।
দেশে লাল ডিমের চাহিদা বেশি থাকলেও ভারত থেকে আনা হয়েছে সাদা ডিম। প্রতি ডজনের দাম পড়েছে দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা ৭০ পয়সা।
প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ এক টাকা ৮৩ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ টাকার মত।
এর সঙ্গে গুদাম ভাড়া, এলসি খরচ, ট্রাক ভাড়া যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের খরচ সাড়ে ৮ টাকার কম হবে না বলে মনে করছেন আমদানি সংশ্লিষ্টরা।
আমদানিকারক কোম্পানি হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশনের কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, “খালি দাম আর ট্যাক্সের হিসাব করলে তো হবে না। ২ লাখ ডিমে নষ্ট হয় ১৬ থেকে ১৭ হাজার, খরচ যায় ১ টাকা। এরপর অন্যান্য মিলিয়ে সাড়ে ১০ টাকার মত হয়ে যায়।”
তার এই তথ্য সত্য ধরলেও আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ কতটা সফল হবে, সে প্রশ্ন রয়ে যায়।
অবশ্য ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে সাময়িক সময়ের জন্য আমদানি শুল্ক মওকুফ করার অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
সংস্থাটি চিঠি দেওয়ার পর সরকার আলু ও পেঁয়াজের ওপর শুল্ক কমিয়েছে। অবশ্য সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাব বলছে, গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দর কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর আলুর দাম শুল্ক কমানোর আগেও যত ছিল, এখনও তাই।
ডিম: আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব?
দেশের 'অর্ধেক দামে' ভারত থেকে এল ডিমের আরেক চালান
দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা: ডিম-মুরগির 'যৌক্তিক মূল্য' নির্ধারণ
ডিমের কাম্য দাম: খামারি ও ক্রেতার
ডিম আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ
বাচ্চা হয়ে থাকতেই আগ্রহী সরকারি মুরগির খামার