নির্বাচনের আগে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ৪৬ জন সংসদ সদস্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলেন তিনি।
Published : 30 Apr 2024, 01:39 AM
পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ন ও নদীর পানি দূষণ রোধে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সংসদীয় ককাস গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সোমবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।
কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএসএইড এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত প্রোমটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস (পিএরআর) কর্মসূচির আওতায় ’টেকসই নগরায়ন ও পরিবেশের সুরক্ষায় সুপারিশ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে পিএআর প্রকল্পে ২১৭ জন রাজনৈতিক নেতা এবং ৪৬ জন সংসদীয় প্রার্থীর কাছে পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি আদায় করা হয়। সেই প্রতিশ্রুতি ধরেই এখন কাজ করছে ইউএসএআইডি ও পিএআর।
সাবের হোসেন বলেন, পিএআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থপনা, পরিকল্পিত নগরায়ন, সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সেবা প্রদান ব্যবস্থা, নদী দূষণ রোধে সকলের অংশগ্রহণে সুপারিশ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তা সুশাসন ও জবাবদিহিতার একটি মডেল পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ৪৬ জন সংসদ সদস্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদেরকে নিয়ে সংসদে একটি ককাস তৈরি করাই হবে প্রথম কাজ। কারণ একজনের পক্ষে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
”এই ককাসের কাজ হবে নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা।”
অনুষ্ঠানে খুলনা, ও ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ন ও নদীর পানি দূষণ রোধে ১০টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন।
সেগুলো হচ্ছে- বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন, একবার-ব্যবহার্য প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, প্রস্তাবিত ফোর আর (রিডিউজ, রিইউজ, রিকভারি, রিসাইকেল) নীতিমালার বাস্তবায়ন।
তাদের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- জাতীয় পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং ও নজরদারির ব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য বাংলাদেশের সব সিটি কর্পোরেশনে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে মাল্টি-সেক্টরাল সভায় নদী এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পদক্ষপের অগ্রগতি আলোচনা, জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীত্বমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি ক্ষমতার পরিধি বাড়ানো এবং নতুন সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদনের আগে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশগত দিক মূল্যায়ন করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।
আলোচনায় ইউএসএইডর মুহাম্মদ এন. খান, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক অংশ নেন।