নিহত ফারুক আহমেদ (৬০) দলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজের বাসার সামনে ফারুক গুলিবিদ্ধ হন বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ হত্যাকাণ্ডের জন্য দলীয় কোন্দলকে দায়ী করেছেন। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।
শামীমের চিৎকারে ফারুকের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নাহার আহমেদ হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “দলীয় লোকজনই তাকে হত্যা করেছে।”
চিৎকার করে স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ফারুকের পিঠে গুলি করা হয়।
টাঙ্গাইল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, তারা এই হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছেন।
ফারুক হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাসাপাতালে ভিড় জমান। জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা ও পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর হাসপাতালে ছিলেন।
ফারুক সদর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
ফারুকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।