শনিবার ইউক্রেইন জুড়ে রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় প্রাণ বাঁচাতে রাজধানী কিইভের বাসিন্দারা মেট্রোস্টেশনগুলোতে আশ্রয় নেন।

|

ছবি: রয়টার্স

)<div class="paragraphs"><p>শনিবার ইউক্রেইন জুড়ে রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় প্রাণ বাঁচাতে রাজধানী কিইভের বাসিন্দারা মেট্রোস্টেশনগুলোতে আশ্রয় নেন। </p></div>
বিশ্ব

ইউক্রেইনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫

Byরয়টার্স

কিইভ ও খারকিভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় শনিবার ভোরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েকঘণ্টা পর ইউক্রেইন জুড়ে দ্বিতীয় দফায় তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

এদিন নিপ্রো নগরীতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন নিহত এবং ছয় শিশুসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অঞ্চলের গভর্নর।

মাইকোলাইভ, পশ্চিমের নগরী লভিভ এবং কৃষ্ণ ‍সাগরের তীরের বন্দর নগরী ওদেসা কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশেই ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইউক্রেইনের মধ্যাঞ্চলেও বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। শুরুতে রুশ বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হতে পারলেও এক পর্যায়ে তাদের ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। বছরের শেষভাবে কয়েকটি অঞ্চলে দখলদার রুশ বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে ইউক্রেইনের সেনারা।

শনিবার ইউক্রেইন জুড়ে রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় প্রাণ বাঁচাতে রাজধানী কিইভের বাসিন্দারা মেট্রোস্টেশনগুলোতে আশ্রয় নেন।

যার প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধকৌশলে পরিবর্তন আনে রাশিয়া। গত অক্টোবর মাস থেকে রাশিয়া ইউক্রেইনের বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে হামলার কারণে ইউক্রেইনের বিস্তৃর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ঘরগরম রাখার ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়লে ইউক্রেইনের নাগরিকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সঙ্গে দেখা দেয় পানি সংকট।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকরা জানান, শনিবার ভোরে এমন কী সতর্কতামূলক সাইরেন বাজার আগেই তারা রাজধানী কিইভে একদফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আওয়াজ পান। যেমনটা সাধারণত ঘটে না।

তার কয়েকঘণ্টা পর ইউক্রেইন জুড়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দফা হামলা।

রাজধানীতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের পর এক জায়গায় আগুন লেগে গেছে।

এছাড়া, কিইভ উপকণ্ঠে কয়েকটি বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার খবর দিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

শনিবার ইউক্রেইন জুড়ে রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় প্রাণ বাঁচাতে রাজধানী কিইভের বাসিন্দারা মেট্রোস্টেশনগুলোতে আশ্রয় নেন।

কিইভের সামরিক প্রশাসন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘একটি ‍গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে গুরুতর কোনো ক্ষতি বা আগুন লাগেনি। সব ধরণের জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে কাজ করছে। কেউ আহত হননি।”

ইউক্রেইন জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া কোম্পানি ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে দ্রুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরায় সচল করতে কঠোর পরিশ্রম করছে।

শনিবার দিনের বেলা কিইভের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশটিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া সর্ববৃহ‍ৎ বেসরকারি কোম্পানি ডিটিইকে এদিন রাজধানী কিইভ, কিইভ অঞ্চল এবং ওডেসা অঞ্চলে জরুরি ‘ব্ল্যাকআউট’ ঘোষণা করেছে।

তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগের দিন শুক্রবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের বাহিনী লবনখনির শহর সোলেদারের দখল নিয়েছে।

গত প্রায় ছয়মাসে ইউক্রেইন যুদ্ধে এটা রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য সাফল্য। গত কয়েকমাস ধরে ইউক্রেইনে তাদের কেবল হারই দেখতে হয়েছে।

রাশিয়া সোলেদার শহর নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার দাবি করলেও ইউক্রেইন বলেছে, তাদের সেনারা এখনো সেখানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

রয়টার্স স্বাধীনভাবে সোলেদারের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করতে পারেনি।

SCROLL FOR NEXT