বিশ্ব

আফগানিস্তানের পানশিরে ফের তুষারধস

Byনিউজ ডেস্ক

 রোববার পানশিরের প্রাদেশিক গভর্নরের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এই নতুন তুষারধসে আগের তুষারধসে চাপা পড়া এলাকাগুলো পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গভর্নর আব্দুল রহমান কাবিরি বিবিসি’কে জানিয়েছেন, ৪০ মিটার উঁচু তুষারের নীচে নতুন এলাকাও চাপা পড়েছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দেশজুড়ে তুষারধস ও বন্যায় অন্তত ২৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশ্রাফ ঘানি।

এদের মধ্যে পানশিরেই বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন। ওই উপত্যকার অনেক মানুষ তুষারে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এরই মধ্যে আবার তুষারধসে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে পড়েছে।

তুষারধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পারিয়ান বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে বলে জানিয়েছেন আফগান কর্মকর্তারা।

কোনো এলাকায় তুষার পরিষ্কার করে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে কিছুটা গতি সঞ্চার করা গেছে। বুলডোজার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে পানশির উপত্যকার দিকে বরাবর উঠে যাওয়া একটি রাস্তার তুষারমুক্ত করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।

কয়েকটি এলাকায় নারী ও শিশুসহ তুষারে চাপা পড়া মানুষের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পানশির ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি প্রদেশে তুষারধস ও বন্যা হয়েছে। পানশিরসহ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সাতটি এলাকায় বিমান বাহিনী বিমান থেকে প্যাকেটজাত খাদ্যসামগ্রি নিক্ষেপ করছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষ ও আহতদের হেলিকপ্টার যোগে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নিহতদের স্মরণে আফগানিস্তানে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করে ইরান সফর বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ঘানি।

উত্তর আফগানিস্তানে তুষারধস একটি নিয়মিত ঘটনা। ২০১০ ও ২০১২ সালেও ওই এলাকায় তুষারধসে বহু মানুষ নিহত হয়েছিলেন। তবে এবার পানশিরের তুষারধসে মতো ধস গত ৩০ বছরেও হয়নি বলে জানা গেছে।

SCROLL FOR NEXT