বিশ্ব

সৌদি আরবে ওবামা

Byরয়টার্স

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন সুদৃঢ় করা ওবামার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আবর দীর্ঘদিনের মিত্র এবং ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত বন্ধুদের একজন সৌদি আরব। তেলের স্বার্থ ছাড়াও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দু’দেশের সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতিও সৌদি আরবের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তবে মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ক কিছু বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে টনাপোড়ান চলছে।

বিখ্যাত কয়েকজন সমাজকর্মীকে কারাদণ্ড দেয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছে। তাছাড়া, এ মাসে একজন ব্লগারকে জনসম্মুখে দোররা মারা কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা উচিত বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউজও চাপে রয়েছে। যদিও ওবামা সাধারণত মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগতভাবেই কথা বলতে পছন্দ করেন।

গত সপ্তাহে বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর নতুন বাদশাহ সালমানের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করবেন ওবামা।

সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ওবামা ভারত সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন।

দুই নেতার আলোচনার বিষয়ে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিমন হেন্ডেরসন লেখেন, “সর্বশেষ প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী তাদের আলোচনার প্রধান বিষয় হতে পারে….সিরিয়া, ইরান, আইএস এবং তেলের দাম।”

“বাদশাহ সালমান ও তার উপদেষ্টা পরিষদ ওবামাকে কতটা গুরুত্ব দেবেন এখন সেটিই দেখার বিষয়।”

গতবছর মার্চে সৌদি আরব সফর করেছিলেন ওবামা। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আবার বন্ধুত্বপূর্ণ হতে শুরু করেছে। আইএস’র বিরুদ্ধে একত্রে যুদ্ধ করছে দুই দেশ।

SCROLL FOR NEXT