বিশ্ব

বিধর্মী নারীদের যৌনদাসী করার ফতোয়া আইএস’র

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েশিশুদের এ কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে মত দিয়েছে গোষ্ঠিটি।

“প্রশ্নোত্তরে নারী দাসী ও তাদের স্বাধীনতা” নামের আইএস’র একটি পুস্তিকায় এসব কথা বলা হয়েছে বলে সিএনএন’র বরাত দিয়ে রোববার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস।

শনিবার সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবার সূর্যাস্তের পর ইরাকের আইএস অধিকৃত শহর মসুলের বাসিন্দাদের মধ্যে ওই পুস্তিকাটি বিতরণ করেছে আইএস।

ওই পুস্তিকায় অমুসলিম নারী ও শিশুদের বিক্রি করা যাবে এবং উপহার হিসেবে অন্যদের দেয়া যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আটক করা নারীরা “অবিশ্বাসী” হলে তাদের আটক অনুমোদনযোগ্য বলে পুস্তিকায় দাবী করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, স্ত্রী দাসীরা হল নারী যাদের মুসলিমরা শত্রুদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।

পুস্তিকার অধিকাংশজুড়েই নারী দাসীদের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার ক্ষেতে আইএস’র নীতির বিষয়ে বলা হয়েছে।

এছাড়া পুস্তিকায় আইএস’র অন্যান্য আইন সম্পর্কেও বলা হয়েছে এবং বন্দিদের উপর বন্দিকর্তার পূর্ণ কর্তৃত্ব আছে বলে পরিষ্কার করা হয়েছে।

আইএস’র ওই পুস্তিকার বিষয়ে মসুলের এক বাসিন্দা বলেছেন, “অধিকাংশই (আমাদের) মর্মাহত, কিন্তু (আমরা) এ বিষয়ে তেমন কিছু করতে পারছি না।”

অনেকেই সিরিয়া ও ইরাকে আইএস’র নির্মম অভিযানের সময় গোষ্ঠিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অপহরণ, বিক্রয় ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন বলে সিএনএন’র প্র্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আইএস’র চাপিয়ে দেয়া শরিয়া আইন মেনে নেয়নি বলে অনেক বেসামরিক লোকজনকে গোষ্ঠিটির সদস্যরা হত্যা করেছে, এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়।

সৃষ্টিকর্তার নামে পশ্চিমা সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের শিরশ্ছেদের বিষয়টি আগেই সমর্থন করেছিল আইএস। তারপরও মসুলে বিতরণকরা পুস্তিকাটির মতো নিজেদের কার্যকলাপের পক্ষে যুক্তি ও ব্যাখ্যা দিয়ে পুস্তিকা প্রকাশ ও বিতরণ বিরল বিষয় বলে উল্লেখ করেছে সিএনএন।

SCROLL FOR NEXT