বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ইউক্রেইনে রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযানে’ এখন পর্যন্ত যত জায়গায় তুমুল লড়াই হয়েছে, তার মধে সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক অন্যতম। শহরটিতে একমাস ধরে একটার পর একটা সড়কে লড়াই হয়েছে; ধীরগতিতে, কষ্ট স্বীকার করে রাশিয়া একের পর এক এলাকার দখল পেয়েছে।
“অনেক মাস ধরে টুকরো টুকরো বিভিন্ন অংশে কেবল থাকার জন্য অবস্থান ধরে রাখার কোনো মানে নেই,” শুক্রবার টেলিভিশনে এমনটাই বলেন হাইদাই।
শহরটির ইউক্রেইনীয় সেনারা ‘এরই মধ্যে নতুন জায়গায় যাওয়ার আদেশ পেয়ে গেছে’ বলেও জানিয়েছেন তিনি; তবে ওই সেনারা এরই মধ্যে ওই আদেশ পালন করেছে কিনা কিংবা তারা কোথায় যাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি এ গভর্নর।
সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্কের দখল পাওয়া রাশিয়ার জন্যও বেশ বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে; এটি ছিল ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রণে থাকা লুহানস্ক অঞ্চলের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহরের একটি। সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্কের পতন হলে, বাকি থাকবে কেবল লিসিচ্যাংস্ক।
রাশিয়া ও তাদের সমর্থনপুষ্ট পূর্ব ইউক্রেইনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যে দুটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত, লুহানস্ক তার একটি।
“অনেক ক্ষেত্রেই, দনবাসের ভাগ্য নির্ধারিত হবে সেখানে,” সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্কের যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি করা এক মন্তব্যে এমনটাই বলেছিলেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।