বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আফগানিস্তান দূত খলিলজাদের পদত্যাগ

Byনিউজ ডেস্ক

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশৃঙ্খলাপূর্ণ প্রত্যাহার ও দেশটি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে পদ ছাড়লেন খলিলজাদ। কাতারের রাজধানী দোহায় তার নেতৃত্বে হওয়া আলোচনার মাধ্যমেই ফেব্রুয়ারি ২০২০ এ যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে চলতি বছরের মধ্যে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল।

বর্তমানে দোহাভিত্তিক আফগানিস্তান বিষয়ক মার্কিন দূতাবাসে খালিলজাদের ডেপুটি টম ওয়েস্ট তার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় পশ্চিমা দেশগুলো এই দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানেন যুক্তরাষ্ট্রের এমন এক কর্মকর্তা পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, খলিলজাদ শুক্রবার তার পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর অক্টোবরের প্রথমদিকে দোহায় বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আলোচনা বসেছিল তালেবানে; এই আলোচনায় ছিলেন না খলিলজাদ।

পদত্যাগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে খলিলজাদ তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।

আফগানিস্তানে জন্মগ্রহণকারী খলিলজাদ ২০১৮ সাল থেকে আফগানিস্তান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দূতের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। 

আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর খলিলজাদ ওই কট্টরপন্থি গোষ্ঠীটিকে কাবুলের পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে কয়েক দশকের হানাহানি বন্ধে রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য চাপ দিতে থাকেন।

কিন্তু মধ্য অগাস্টে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই তালেবান আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কাবুলের দিকে অগ্রসর হলে চাপের মুখে গনি সরকার ভেঙে পড়ে। ওই সময় আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ায় সহায়তা করতে তালেবানের আনুকূল্য চেয়েছিলেন খলিলজাদ। কিন্তু দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করা আফগান নাগরিকরা তখন ঝুঁকির মুখে পড়ে যান।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছিলেন, তিন বছর ধরে খলিলজাদ ওই পদে থেকে স্মরণকালে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতার অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক তালেবানের ওপর থেকে চাপ সরিয়ে তাদের উদ্দেশ্য সাধনের পথ খুলে দিয়েছিলেন, ধারাবাহিকভাবে আফগান সরকারকে অবজ্ঞা করেছেন এবং মার্কিন সরকারের ভেতরের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীগুলোতে কর্ণপাতও করেননি।

খলিলজাদ পদত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন, এ নিয়ে সিএনএন প্রথম প্রতিবেদন করেছিল।

SCROLL FOR NEXT