বিশ্ব

২০২০ হতে পারে বিশ্বের দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর: জাতিসংঘ

Byনিউজ ডেস্ক

তাপদাহ, খরা, দাবানল ও প্রবল ঘূর্ণিঝড়- আবহাওয়া সংক্রান্ত এ পাঁচটি বিষয়ের তথ্য বিবেচনায় নিয়ে একটি বছরকে চিহ্নিত করা হয়, সেই বিবেচনায় ২০২০ সালকে ১৮৫০ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর হিসেবে এখনই স্থান দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।  

“রেকর্ড অনুযায়ী, ২০২০ সাল বিশ্বের তিনটি উষ্ণতম বছরের একটি হতে পারে,” জেনিভাভিত্তিক জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএমও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতি সংক্রান্ত চলতি বছরের প্রতিবেদনে এমনটাই বলেছে।

চলতি বছরের প্রচণ্ড গরম অস্ট্রেলিয়া, সাইবেরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক দাবানলের কারণ হয়। বিশাল অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এসব আগুনের ধোঁয়া বিশ্বজুড়ে মেঘের মতো স্তর তৈরি করে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া এক বক্তৃতায় এজন্য মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকে দায়ী করেছেন।

“সহজ করে বললে, আমাদের এই গ্রহের অবস্থা এখন হতাশাজনক। মানুষ প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। এটা আত্মঘাতী,” বলেছেন গুতেরেস।

ডব্লিউএমও জানিয়েছে, পরিবর্তনের চিত্র তুলনামূলক কম দেখা গেলেও সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে রেকর্ড স্তরে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের মোট সমুদ্র অঞ্চলের ৮০ শতাংশেরও বেশি এলাকায় সামুদ্রিক দাবদাহ দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণে লাগাম টানার আর্তি জানিয়ে ডব্লিউএমওর মহাসচিব পেতেরি তালাস বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০২০ আমাদের জলবায়ুর জন্য আরেকটি অস্বাভাবিক বছর হতে যাচ্ছে।”

ডব্লিউএমও জানিয়েছে, ২০১৯ সালে গ্রিনহাউজ গ্যাসের ঘনত্ব নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় আর চলতি বছর কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনের কারণে নিঃসরণের পরিমাণ কম হলেও ঘনত্ব বেড়েছে।

সংস্থাটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের ভিত্তি তাপমাত্রা থেকে প্রায় ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে ছিল; যা ২০১৬ সালের চেয়ে কম হলেও ২০১৯ সালের তুলনায় সামান্য বেশি।

SCROLL FOR NEXT