বিশ্ব

লকডাউনে ইংল্যান্ডে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ৩০% কমেছে

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

বিশেষ করে যেসব এলাকায় সংক্রমণের বিস্তার বেশি ছিল সেসব এলাকায় উল্লেখ করার মত উন্নতি হয়েছে। তবে সংক্রমণ কমে এলেও ইংল্যান্ডে এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

তাই এখনও ‘হাঁফ ছাড়ার’ সময় হয়নি বলে মনে করেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।

দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘‘গবেষণার তথ্য বলছে আমাদের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে হাঁফ ছাড়ার সময় এখনও হয়নি।”

বিবিসি জানায়, গত ১৩ থেকে ২৪ নভেম্বর ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন এক লাখের বেশি মানুষের উপর এই গবেষণা ‍চালায়। ‘রিয়্যাক্ট-১’ শিরোনামে এই গবেষণার তথ্য অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং কোভিড-১৯ নিয়ে দেশের সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরেছে।

ইমপেরিয়ালের গবেষণায় এলোমেলো ভাবে লোকজনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের শরীরে রোগের উপসর্গ আছে কি নেই তা বিবেচনা করা হয়নি।

গবেষণার ফলে দেখা যায়, তার আগের গবেষণা ফলের চাইতে ১৩-২৪ নভেম্বরের গবেষণা ফলে সংক্রমণ বিস্তারের হার ৩০ শতাংশ কমে এসেছে।

অক্টোবরের শেষ দিকে করা আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ভাইরাস সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে এবং প্রতি নয় দিনে শনাক্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এখন সংক্রমণের গতি কিছুটা কমে এসেছে। তবে যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা কমেনি।

ইংল্যান্ডের নর্থ ওয়েস্ট এবং নর্থ ইস্ট অঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। সেখানে লকডাউনে সংক্রমণের গতি ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। গবেষণা বলছে, বর্তমানে ইস্ট মিডল্যান্ডস ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস এ সংক্রমণ বিস্তারের গতি সবচেয়ে বেশি।

ইংল্যান্ডে গত ৫ নভেম্বর থেকে দেশ জুড়ে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতির স্পষ্ট চিত্র পাওয়া গেলেও সব মিলিয়ে এখনও সেখানে অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক।

ইংল্যান্ডে এখনও প্রতি ১০০ জনে একজন এ রোগে আক্রান্ত। গত সেপ্টেম্বরে সংক্রমণ যখন আবার বাড়তে শুরু করেছিল তখনকার তুলনায় এ হার দ্বিগুণ।

SCROLL FOR NEXT