বিশ্ব

স্পেসএক্সের রকেটে চাঁদের চারপাশে ঘুরবেন জাপানি ধনকুবের

Byনিউজ ডেস্ক

৪২ বছর বয়সী জাপানি ধনকুবের ও অনলাইন ফ্যাশন টাইকুন ইউসাকু মায়েজাওয়া বলেছেন, “চাঁদে যাওয়ার বিষয়টি আমি পছন্দ করেছি।”

বিবিসি বলছে, ২০১৬ সালে মাস্কের উন্মোচন করা লঞ্চিং সিস্টেম বিগ ফ্যালকন রকেটে (বিএফআর) করে ইউসাকু ২০২৩ সালে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তেমনটা হলে, তা হবে ১৯৭২ সালে নাসার অ্যাপোলো ১৭ মিশনের পর প্রথম কোনো মানুষের চাঁদমুখি ভ্রমণ।

মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার হথ্রোনে স্পেসএক্সের সদরদপ্তরে জাপানি এ ধনকুবুরের চাঁদে যাওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

“সাধারণ মানুষ, যারা মহাশূন্য ভ্রমণের স্বপ্ন দেখে এ অভিযান হবে তাদের সুযোগ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ,” বলেছে স্পেসএক্স।

এর আগে টুইটারে মাস্কও তার কোম্পানির মাধ্যমে চাঁদে ঘুরতে যেতে চাওয়া প্রথম যাত্রী জাপানেরই হতে যাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

নিউ ইয়র্কের এক নিলামে ১১ কোটি ৫ লাখ ডলারে প্রয়াত চিত্রশিল্পী জিন-মিশেল বাস্কুয়েটের একটি চিত্রকর্ম কিনে গত বছর সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন ইউসাকু।

২০২৩ সালে স্পেসেএক্সের রকেটে চড়ার সময় বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় থেকে আটজন চিত্রশিল্পীকে সঙ্গে নেবেন বলেও জানান চিত্রশিল্পের এ অনুরাগী।

“পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদেরকে (চিত্রশিল্পী) কিছু একটা সৃষ্টি করতে বলা হবে। সেসব মাস্টারপিস আমাদের মধ্যে থাকা স্বপ্নবানদের অনুপ্রাণিত করবে,” সোমবার সাংবাদিকদের বলেন ইউসাকু।

চাঁদে যাওয়া আগের ২৪ অভিযাত্রীর সবাই মার্কিনি ছিলেন; অ্যাপোলোর অনেকে মিশন চাঁদের আশপাশ ঘুরলেও উপগ্রহটির মাটিতে নামেনি। স্পেসএক্সের এ রকেটও চাঁদে অবতরণ করবে না বলেই ধারণা দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের লক্ষ্যমাত্রা হলেও স্পেসএক্সের এ উড়াল যে রকেটের ওপর নির্ভর করে ঠিক করা হয়েছে, সেই রকেটটি এখনও নির্মিত হয়নি বলেও জানিয়েছেন মাস্ক।

“এটি উড়াতে পারবো, সেই বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত নই,” বলেছেন তিনি।

গত বছর মাস্ক দুই যাত্রীকে খরচ পরিশোধের বিনিময়ে চাঁদে ঘুরতে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।

SCROLL FOR NEXT