বিশ্ব

হংকংয়ে  খাবারের অবৈধ দোকান উচ্ছেদে সংঘর্ষ

Byনিউজ ডেস্ক
মং ককের একটি ব্যস্ত সড়ক-সংযোগস্থল থেকে অবৈধ খাদ্য বিক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ছবি: রয়টার্স

বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার সকালে খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শকেরা মং ককের একটি ব্যস্ত সড়ক-সংযোগস্থল থেকে বিক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

উত্তেজিত বিক্রেতারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ও অন্যান্য দ্রব্য নিক্ষেপ করতে শুরু করলে পুলিশ পেপার স্প্রে ছিটায় এবং লাঠিপেটা করে।

পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে দাঙ্গাকারীদের সতর্ক করার চেষ্টা করে। সংঘর্ষে পুলিশসহ ৪৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

হংকং সরকার সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মাত্র কয়েকশ ‘উত্তেজিত ব্যক্তি’ এ ঘটনায় ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করে।

সংঘর্ষের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: রয়টার্স

সংঘর্ষের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: রয়টার্স

গণমাধ্যমকর্মীরাও বিক্ষুব্ধদের ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন। ছবি: রয়টার্স

গণমাধ্যমকর্মীরাও বিক্ষুব্ধদের ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন। ছবি: রয়টার্স

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, “উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করেছে, তারা অগ্নিসংযোগ করেছে, ঘটানস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইটপাটকেল ও অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করে তাদের আহত করেছে। এতে ওই স্থানে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যান্য মানুষের নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে।”

বিবৃতিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ‘গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার’ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মং ককের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ইয়াউ সিউ কেই এই দাঙ্গার জন্য ‘উগ্রপন্থিদের দায়ী’ করেছেন। 

প্রতিবাদকারীরা ঘটনাস্থলের সড়কগুলোর বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে রাখে।

এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বিক্রেতাদের সতর্ক করা হলেও তারা তা অগ্রাহ্য করে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় ২৭ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

২০১৪ সালে  গণতন্ত্রপন্থি ব্যাপক বিক্ষোভ-ধর্মঘটের পর এটিই হংকংয়ে হওয়া সবচেয়ে বড় অস্থিরতার ঘটনা।

SCROLL FOR NEXT