)
বিশ্ব

দুই দশক ধরে পালিয়ে থাকা ভারতীয় মাওবাদী নেতা গ্রেপ্তার

Byনিউজ ডেস্ক

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নিষিদ্ধ ঘোষিত মাওবাদী দল পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএলএফআই) এর স্বঘোষিত প্রধান দিনেশ গোপেকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ।

গোপের বিরুদ্ধে ১০২টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা আছে এবং তাকে ধরিতে দিতে ৩০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

তাকে নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে আটকের পর বিমানযোগে দিল্লি নিয়ে এসে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

এনআইএর তদন্তের তথ্য অনুযায়ী, গোপের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উড়িষ্যায় ওই ফৌজদারি মামলাগুলো দায়ের করা আছে, এগুলো অধিকাংশই খুন, অপহরণ, হুমকি, চাঁদাবাজি ও পিএলএফআইয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ সংক্রান্ত।

কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই-মাওবাদী) একটি দলছুট গোষ্ঠী হিসেবে ২০০৭ সালে পিএলএফআই প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথমে গোপের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড পুলিশ ২৫ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। পরে এনআইএ গোপের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সহায়তার জন্য আরও ৫ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে।

২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের সিংভূম জেলার বন এলাকায় গোপের নেতৃত্বাধীন পিএলএফআই স্কোয়াড ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বন্দুক লড়াই হয়েছিল, বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলার পর বিদ্রোহীরা বনে পালিয়ে যায়।

গোপেও পালিয়ে যান আর তারপর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার অবস্থান পাল্টাতে থাকেন। তিনি ঝাড়খণ্ডে পিএলএফআই দৃঢ় অবস্থান আবার গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা যায়।

চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের জন্য গোপে পিএলএফআই দলের সদস্যদের নিয়ে ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করতে হামলা পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ।

আগে ঝাড়খণ্ড লিবারেশন টাইগার্স নামে পরিচিত পিএলএফআই ঝাড়খণ্ডে কয়েকশ সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। এরমধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

এনআইএ জানিয়েছে, পিএলএফআই-কে একটি মাওবাদী দল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০০৭ সালে সিপিআই-মাওবাদী দল ত্যাগ করে মাসি চরণ পুর্তি তার কিছু অনুসারী নিয়ে গোপের সঙ্গে যোগ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে পুর্তি গ্রেপ্তার হয়ে গেলে গোপের নেতৃত্বেই পিএলএফআই তাদের তৎপরতা চালিয়ে যায়। 

SCROLL FOR NEXT