|

|

ছবি: রয়টার্স

)<div class="paragraphs"><p>|</p></div>
টেক

হ্যাকারের ওপর হ্যাকিং, সার্ভার জব্দ র‌্যানসমওয়্যার দলের

Byপ্রযুক্তি ডেস্ক

‘হাইভ’ নামে পরিচিত কুখ্যাত এক র‍্যানসমওয়্যার দলের সার্ভার গোপনে হ্যাকিংয়ের দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

এই পদক্ষেপের কারণে সংস্থাটির তিনশ’র বেশি ভুক্তভোগীকে ১৩ কোটি ডলারের মুক্তিপণ দাবির হাত থেকে বাঁচানোর কথা উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড, এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  সরকার পক্ষের হ্যাকাররা হাইভের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে দলটিকে নজরদারির আওতায় আনার পাশাপাশি বিভিন্ন ‘ডিজিটাল কি’ চুরি করেছে, যা ব্যবহার করে তারা ভুক্তভোগী সংস্থাগুলোর ডেটা হাতিয়ে নিতো।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ভুক্তভোগীদের অগ্রিম সতর্কবার্তা দিতে পেরেছে, যেন তারা হাইভের মুক্তিপণ দাবির আগেই নিজস্ব ব্যবস্থা সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।

“আইনি ভাষায় এর মানে দাঁড়ায়, আমরা হ্যাকারদের ওপর হ্যাকিং চালিয়েছি।” --প্রতিবেদকদের বলেন মোনাকো।

“আমরা হাইভের ছক উল্টে দিয়েছি।”

এই হ্যাকিং কার্যক্রমের খবর প্রথম ফাঁস হয় বৃহস্পতিবার সকালে। সে সময় অনলাইনে হাইভের প্রচলিত ওয়েবসাইটের বদলে একটি বার্তা উঠে আসে। 

“হাইভ র‍্যানসমওয়্যারের বিরুদ্ধে সমন্বিত আইনি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সাইটটি জব্দ করেছে এফবিআই।” -- উল্লেখ রয়েছে ওই বার্তায়।

কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, হাইভের সার্ভার জব্দ করেছে ‘জার্মান ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিস’ ও ‘ডাচ ন্যাশনাল হাই টেক ক্রাইম ইউনিট’ও।

“পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে জাতীয় সীমানা ও মহাদেশ ছাড়িয়ে নিবিড় সহযোগিতার বিষয়টি ফুটে ওঠে। আর এটিই কার্যকরভাবে গুরুতর সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল সূত্র।” --এক বিবৃতিতে বলেন জার্মান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমিশনার উদো ভোগেল ও এই তদন্তে সহায়তা করা ব্যাডেন-উয়ের্টেমবার্গ রাজ্যের আইনজীবীরা।

হাইভের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে পারেনি রয়টার্স। তারা কোথায় অবস্থান করছে, তা-ও পরিষ্কার নয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মার্কিন বিচার বিভাগ ঘোষিত অন্যান্য হাই-প্রোফাইল র‍্যানসমওয়্যারের ঘটনার চেয়ে হাইভ দখলের বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, ২০২১ সালে মার্কিন তেল কোম্পানি ‘কলোনিয়াল পাইপলাইনের’ ওপর চালানো সাইবার আক্রমণের ঘটনাকে।

ওই ঘটনায়, কোম্পানি হ্যাকারদের আগেই মুক্তিপণ দেওয়ার পর ২৩ লাখ ডলারের ক্রিপ্টোমুদ্রা জব্দ করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

তবে এইবারের ঘটনায় কোনো কিছুই জব্দ করা যায়নি, কারণ হাইভের মুক্তিপণ দাবির আগেই তদন্তকারীরা হস্তক্ষেপ করেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে শুরু করা সরকারি এই গোপন অভিযানের খবর এখনও টের পায়নি হ্যাকার দলটি।

বিভিন্ন সাইবার অপরাধী দলের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হতো হাইভ। কারণ, এর মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যবসার ডেটা এনক্রিপ্ট করে এর বিনিময়ে বিশাল পরিমাণ ক্রিপ্টোমুদ্রা দাবি করতো দলটি।

SCROLL FOR NEXT