টেক

যুক্তরাজ্যে কর ফাঁকির মামলায় এনএফটি জব্দ

Byপ্রযুক্তি ডেস্ক

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রথম এনএফটি জব্দ করার ঘটনা এটি। এনএফটি ডিজিটাল জগতের মূল্যবান সম্পদ হলেও বাস্তব পৃথিবীতে এটি থেকে যায় মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ২০১৪ সালে অভিষেক হওয়া এই প্রযুক্তিতে ভার্চুয়াল বা শারীরিক সম্পদের মালিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে ডিজিটাল টোকেনগুলোকে। 

ব্রিটিশ কর কর্তৃপক্ষ বলছে, মামলার সন্দেহভাজনরা “অত্যাধুনিক কৌশল” অবলম্বন করে নিজের পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করেছে; ভুয়া পরিচয়, ভুয়া ঠিকানা, অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন, এবং ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারের পাশাপাশি বৈধ ব্যবসায়িক লেনদেনের অভিনয়ও করেছে তারা।

আর্থিক অপরাধ বিভাগের সহ-পরিচালক নিক শার্প বলছেন, “প্রথম এনএফটি জব্দের ঘটনাটি তাদের জন্য সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করবে যারা ভেবেছে তারা ক্রিপ্টো সম্পদ ব্যবহার করে কর বিভাগের কাছ থেকে অর্থ লুকাতে পারবে।” 

যুক্তরাজ্যের কর বিভাগের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশেই পাঁচ হাজার পাউন্ড নগদ অর্থ এবং তিনটি এনএফটি শিল্পকর্ম জব্দ করেছে সংস্থাটি। তবে, মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি এনএফটিগুলোর।  

এনএফটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোনো শিল্পকর্মের ‘ডিজিটাল টোকেন’ তৈরি করা যায়। ওই টোকেনগুলোই মালিকানার ডিজিটাল প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। ডিজিটাল ফাইল ইচ্ছে মতো কপি করা গেলেও, কপি করা সম্ভব নয় ওই টোকেনগুলো।

বাস্তব জীবনের শিল্পকর্ম, গান, ভিডিও এমন নানা জিনিষের এনএফটি বানানো সম্ভব। টোকেনের মালিকানা আর হাতবদলের তথ্যগুলো সংরক্ষিত থাকে ব্লকচেইনে। ব্লকচেইনে সংরক্ষিত তথ্য নকল বা জালিয়াতি করার সুযোগ নেই কারণ কয়েক হাজার কম্পিউটার মিলে গঠিত হয় একটি ব্লকচেইন। ফলে একটি কম্পিউটার হ্যাক করতে পারলেও পুরো ব্লকচেইন হ্যাক করা সম্ভব নয়।

SCROLL FOR NEXT