টেক

‘গোপনে ডেটা সংগ্রহের’ অভিযোগে ‍মুখ খুললো শাওমি

Byপ্রযুক্তি ডেস্ক

ভোক্তাদেরকে চীনা ফোন কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল লিথুয়ানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে দেশটির ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার জানিয়েছিল, শাওমি’র মি১০টি ৫জি ফোনে সেন্সরিং সক্ষমতা রয়েছে যা “ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলে” বন্ধ থাকে, কিন্তু দূর থেকে চালু করা যায়।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপে বাজারজাতকৃত শাওমির ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে ‘তিব্বত মুক্ত করো (Free Tibet)’, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবি হোক (Long live Taiwan independence)’ এবং ‘গণতন্ত্র আন্দোলন (democracy movement)’-এর মতো স্লোগান চিহ্নিত করে সেন্সর করার বিল্ট-ইন ক্ষমতা আছে।

পরে বুধবার শাওমি মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের ডিভাইস “ব্যবহারকারীদের কাছে প্রেরিত যা প্রাপ্ত কোনো যোগাযোগ সেন্সর করে না।”

“সার্চিং, কলিং, ওয়েব ব্রাউজিং বা তৃতীয় পক্ষের যোগাযোগ সফটওয়্যার ব্যবহারের মতো আমাদের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কোনো ব্যক্তিগত আচরণ শাওমি কখনও সীমিত বা ব্লক করেনি এবং কোনোদিন করবেও না।” – প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে বিবৃতিতে।

“শাওমি সব ব্যবহারকারীর বৈধ অধিকারকে সম্মান করে ও সুরক্ষিত রাখে।” – যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

শাওমি এনক্রিপ্টেড ফোন ব্যবহার ডেটা সিঙ্গাপুরের সার্ভারের পাঠায় বলেও জানিয়েছিল লিথুয়ানিয়ার ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’। বিষয়টি ইউরোপীয় ডেটা নিয়ন্ত্রকদের নীতিমালা বিরোধী হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছিল তারা।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বুধবার বলেছেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন’ মেনে চলে শাওমি।”

আরেক চীনা ফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে’র পি৪০ ৫জি ফোনেও নিরাপত্তা ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছিল ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার। পরে হুয়াওয়ের বাল্টিক অঞ্চলের মুখপাত্র পাল্টা দাবি করেন, তাদের ফোনগুলো ব্যবহারকারীদের ডেটা বাইরের কোনো সার্ভারে পাঠায় না ।

এদিকে, ওয়ানপ্লাসের ফোনে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।

লিথুয়ানিয়া ও চীনের রাজনৈতিক সম্পর্কে সম্প্রতি অবনতি ঘটেছে। অগাস্ট মাসে লিথুয়ানিয়ায় তাইওয়ান নিজস্ব মিশনের নামকরণ ‘তাইওয়ান রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ইউরোপীয় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বেইজিং থেকে ফিরিয়ে নিতে বলে চীন। লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি ফিরিয়ে আনার হুমকিও দিয়েছিলো চীন সরকার।

SCROLL FOR NEXT