টেক

শেষ হচ্ছে ইনজেকশন-এর ব্যবহার? 

Byপ্রযুক্তি ডেস্ক

ইনসুলিন বা ইনজেকশন-এর মাধ্যমে দিতে হয় এমন ওষুধগুলোকে ট্যাবলেট বা বড়িতে পরিণত করার নতুন এক পদ্ধতি বের করেছে রানি থেরাপিউটিকস নামের একটি স্টার্টআপ। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে। 

ওষুধ শিল্পে অনেকদিন ধরেই ইনজেকশন নিতে চান না এমন রোগীদের ওষুধ নিয়ে উপায় খোঁজা হচ্ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে। এসব রোগীদের মধ্যে অনেকেই ভয়, দাম বেশি ও ব্যাথার কারণে সুঁই দিয়ে ইনজেকশন নেওয়া এড়িয়ে চলেন। এ কারণে জীববিজ্ঞানভিত্তিক স্টার্টআপগুলোর জন্য ‘মুখ দিয়ে নেওয়া যাবে এমন চিকিৎসাব্যবস্থায়’ বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রযুক্তিগত বাঁধাও রয়েছে।

রানি’র এই প্রক্রিয়ায় শরীরে অভ্যন্তরে সরাসরি ইনজেকশনের ওষুধ প্রবেশ করানো হবে। এই প্রক্রিয়া ‘ব্যাথামুক্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি প্রধান নির্বাহী মির ইমরান।

প্রতিষ্ঠানটি একটি রোবটিক বড়ির পরিকল্পনা করছে যা পাকস্থলি দিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আর বাইরের পর্দা বিনষ্ট হয়ে বড়ির ভেতরে থাকা পদার্থ বের হয়ে আসবে। 

ইমরান বলেন, একটি ভালভ থেকে আগে থেকে আলাদা করে রাখা দুটি রাসায়নিক নির্গত হবে যেগুলো কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন করবে। এটি থেকে চিনি দিয়ে বানানো সুঁই আকৃতির একটি কাঠামোকে অভ্যন্তরীণ পর্দায় প্রবেশে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হবে। এরপর এই সুঁই স্বাভাবিকভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে। 

প্রতিষ্ঠানটির এই প্রযুক্তি বর্তমানে রোগীদের দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এটি এখনও পরীক্ষামূলক অবস্থায় আছে আর কোনো মানুষের উপর পরীক্ষা চালানো হয়নি।

সামনের ‘দুই-তিন’ বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি আনার প্রত্যাশ্যা করছে। শুরুতে ডায়াবেটিস রোগের, বাত ও এ ধরনের রোগগুলোর দিকেই নজর দেওয়া হবে।

SCROLL FOR NEXT