টেক

চাঁদে আবারও মানুষ পাঠাবেন ট্রাম্প!

Byতাহমিন আয়শা মুর্শেদ

চাঁদে পদচারণা করেছেন এমন মানুষের সংখ্যা ১২ জন। তাদের মধ্যে একজন (ক্যাপ্টেন জিন ক্যারনান) মারা গেছেন ১৯৭২ সালে। তার পর থেকে মানুষ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপন এবং মঙ্গলে প্রথম মানুষ বহনকারী মিশনের জন্য পরিকল্পনা করে চলেছেন।

“সকলে প্রত্যাশা করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন আন্তর্জাতিকভাবে মঙ্গলের পথে যাত্রার সূচনা হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে মিশন পাঠাবে,” বলেন মহাকাশ নীতি বিশেষজ্ঞ জন লগসডন।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর জানিয়েছে, মার্কিনীদের আবারও চাঁদে পাঠানো অনেকটাই নির্ভর করছে নাসা-র উপরের দিকের পদে উচ্চপদস্থ রিপাবলিকান নিউট গিনরিচের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর। চাঁদে ফিরে যাওয়া এবং সেখানে একটি স্থায়ী ভিত্তি তৈরির বিষয়ে এর আগে ব্যপক সমর্থন পেয়েছেন গিনরিচ।

তিনি বলেন, এ ধরনের একটি উপনিবেশ তৈরি করা সম্ভব হলে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ টিকে থাকতে পারবে। এমনকি নতুন একটি যুক্তরাষ্ট্রও হয়ে যেতে পারে সেখানে।

আর চাঁদে মিশন পরিচালনার অর্থ নাসার আর্থ সায়েন্সেস বিভাগের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করে থাকে নাসা-র এই বিভাগটি

এর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের পর এই বিভাগের অর্থায়ন প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। চলতি বছর প্রায় ১৯২ কোটি মার্কিন ডলার এসেছে এই বিভাগে।

জলবায়ু পরিবর্তনের উপর ট্রাম্পের মতামত এখন আর গোপন নয়। পুরো ব্যাপারটিকে তিনি চীনের ‘ধাপ্পাবাজি’ উল্লেখ করে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘উৎপাদন আর বৃদ্ধি সীমিত’ করার উপায় বলে চিহ্নিত করেন।

বব ওয়াকার নামের এক সাবেক কংগ্রেস সদস্য বলেন, “নতুন প্রশাসন এই শতাব্দীর শেষ দিকে সম্পূর্ণ সৌর সিস্টেম উন্মোচন করতে আরও বিস্তৃত লক্ষ্যে এগোতে পারে।”

SCROLL FOR NEXT