টেক

রাশিয়ার নতুন আইন, সমালোচনায় স্নোডেন

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

রাশিয়ায় পাড়ি জমানো স্নোডেন ২০১৩ সালে মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) -এর অনলাইনে এবং ফোনের উপরে নজরদারির বিস্তারিত তথ্য ফাঁস করে দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন।

বিবিসি জানিয়েছে, স্নোডেন টুইটারে আইনটির সমালোচনা করে লেখেন যে, "বিগ ব্রাদার আইন" হচ্ছে সাধারণ অধিকারের বিরুদ্ধে একটি "অকার্যকর, সমর্থনের অযোগ্য আইন, যা অবশ্যই স্বাক্ষর করা উচিত হয়নি"। তার মতে, সাধারণ মানুষের মাধ্যমে সন্ত্রাসের উপর নজরদারি কার্যকরী হবে না। বরং এই আইনের মাধ্যমে নিরাপত্তার বদলে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়বে।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্যই তাদের গ্রাহকের ফোন কলের তথ্য এবং মেসেজ ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করবে। ফোন এবং টেক্সট রেকর্ড তিন বছরের জন্যে সংরক্ষিত থাকতে হবে। আর সামাজিক মাধ্যমে আদান-প্রদান করা মেসেজ এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

যেসব অনলাইন সেবাদাতা ডেটা এনক্রিপ্ট করে থাকে তারা অবশ্যই সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদেরকে ডেটা ডিক্রিপ্ট করতে সহায়তা করবে।

এই আইনে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের খবর জানার পরেও সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করলে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উস্কানিমূলক তথ্য ছড়ানো বা এমনকি সহমত পোষণ করলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

১৪ বছরের বেশি বয়সী তরুণদের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন হিসেবে সন্ত্রাসে জড়িত থাকাসহ ১০ ধরনের অভিযোগ আনা যাবে বলে এতে অনুমোদন করা হয়েছে।

আইনটি রাশিয়ার বিরোধী রাজনৈতিক দলের দ্বারাও সমালোচিত হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির উপপ্রধান ইউরি সিনেলনিকভ সতর্কবার্তা হিসেবে জানান, এই আইনের মাধ্যমে টেলিকম খাতের ডেটা সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা অপব্যবহৃত হতে পারে। অন্যদিকে দিমিত্রি গুকোভ-এর ভাষ্যমতে, এই আইন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

স্নোডেন জানান, টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর ছয়মাসের ডেটা সংরক্ষণ করে রাখা কেবল ঝুঁকিপূর্ণই নয়, অনেকটা অবাস্তব। রাশিয়ার স্টেইট ডুমা আইনের চূড়ান্ত খসড়াটি ইতোমধ্যে অনুমোদন করেছে। তবে দেশটির ফেডারেশন কাউন্সিলকে অবশ্যই প্রেসিডেন্ট পুতিন চূড়ান্তভাবে এতে স্বাক্ষর করার আগে আইনটির অনুমোদন দিতে হবে।

SCROLL FOR NEXT