পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে কাঙ্ক্ষিত অর্থ জমা না পড়ায় অসন্তোষ

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

কমিটির সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় কোম্পানিগুলোর প্রতি এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তহবিলে নিয়ম অনুযায়ী অর্থ ও শেয়ার স্থানান্তর করা না হলে এ বিষয়ে কার্যকর ‘মনিটরিং’ ও ‘সার্বিক তত্ত্বাবধান’ করার কথা জানানো হয়।

শনিবার তহবিলের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএএমসি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) নামে গঠিত পুজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘদিনের অবণ্টিত লভ্যাংশের বিপুল অর্থ ও শেয়ার আসার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত ৪৬০ কোটি টাকা এবং বর্তমান বাজারদরে ৩৩৮ কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার জমা হয়েছে।

কমিটি মনে করছে, “জমা পড়া এ অর্থ ও শেয়ার খুবই নগণ্য।”

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে দীর্ঘদিন দাবিহীন পড়ে থাকা লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যবহারের সুযোগ তৈরিতে এ তহবিল গঠন করা হয়।

তহবিলের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এএএমসি এর ওই সভায় কমিটির প্রধান অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুর রউফ বলেন, “৩১ মে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ইস্যুয়ার কোম্পানিসমূহ সিএসএফের ফান্ডে অর্থ ও শেয়ার ট্রান্সফার না করলে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিয়ম অনুযায়ী যে অর্থ ও শেয়ার এ ফান্ডে আসার কথা তা কীভাবে আনা যায়, সে বিষয়ে  মনিটরিংসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করা হবে I”

তার সঙ্গে কমিটির অন্য সদস্যরা একমত পোষণ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তি এ ফান্ডের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব উল্লেখ করে এতে বলা হয়, সিএমএসএফ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় ২৩ লাখ টাকার অমীমাংসিত দাবি নিষ্পত্তির আবেদন গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যে ২১ লাখ টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে, যা মোট দাবির ৯৩ শতাংশ।

সভায় অডিট কমিটির সদস্য এ.কে.এম. দেলোয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম.এ. মহি (এলপিআর), শাহেদা খানম ও মুহাম্মদ তাজদিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT