খেলা

অবশেষে থামলেন বিশ্ব রেকর্ডধারী উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার

Byস্পোর্টস ডেস্ক

দীর্ঘ পেশাদারী ফুটবল ক্যারিয়ারে এক ডজনেরও বেশি দেশে ৩১টি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৪৪ বছর বয়সী আবরেউ। গত শুক্রবার ২৭ বছরের এই ক্যারিয়ারে ইতি টানেন তিনি।

বিদায়টা অবশ্য জয়ে রাঙাতে পারেননি আবরেউ। উরুগুয়ের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচটি ৫-০ গোলে হারে তার দল সুদ আমেরিকা, যে দলটির আরেক নাম আইএএসএ।

ম্যাচের আগের দিনই বিদায়ী বার্তা দিয়েছিলেন আবরেউ, “দিনটি এসেছে, পর্দা নামতে যাচ্ছে।”

এক টুইটে আবরেউয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার সবশেষ ক্লাবটি।

“এই শুক্রবার লোকো ওয়াশিংতন সেবাস্তিয়ান আবরেউ পেশাদারী ফুটবল থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে। তার অসাধারণ গল্পের শেষ অংশের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আইএএসএ গর্বিত। উরুগুয়ে ফুটবলের সকলের পক্ষ থেকে তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।”

আবরেউ ‘লোকো’ নামে পরিচিত ছিলেন; যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়াই ‘ক্ষেপা’ বা ‘পাগলাটে ব্যক্তি।’

বুটজোড়া তুলে রাখলেও ফুটবলের সঙ্গেই থাকবেন আবরেউ, চালিয়ে যাবেন কোচিং ক্যারিয়ার। এরই মধ্যে এল সালভাদরের ক্লাব সান্তা তেকলা ও উরুগুয়ের ক্লাব বোস্তন রিভারকে কোচিং করিয়েছেনও তিনি।

১৯৯৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭০ ম্যাচ খেলেছেন আবরেউ। ২০১৭ সালে ২৬তম ক্লাব হিসেবে চিলির অদাক্স ইতালিয়ানোয় যোগ দিয়ে গিনেস রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এর কয়েক মাস আগে দেশটির আরেক ক্লাব পুয়ের্তো মন্তে যোগ দিয়ে স্পর্শ করেছিলেন লুৎস ফানেনস্টিয়েলের রেকর্ড। ২০০৯ সালে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন জার্মানীর সাবেক এই গোলরক্ষক।

স্পেনের দল দেপোর্তিভো লা করুনা ও রিয়াল সোসিয়েদাদে খেলেছেন আবরেউ। স্বদেশের বিভিন্ন ক্লাবে ছাড়াও খেলেছেন মেক্সিকো ও চিলির বিভিন্ন ক্লাবে। আর্জেন্টিনায় খেলেছেন তিনটি ক্লাবে, ব্রাজিলে তার ক্লাব ছয়টি।

  ক্যারিয়ারে তার সবচেয়ে উজ্বলতম মুহূর্ত হয়ত ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ঘানার বিপক্ষে। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে ‘পানেনকা’ স্পট কিকে দলের জয়সূচক গোলটি করেছিলেন আবরেউ।

SCROLL FOR NEXT