খেলা

ম্যাচের শেষ কিকে ম্যানইউর নাটকীয় জয়

Byস্পোর্টস ডেস্ক

প্রতিপক্ষের মাঠে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে হওয়া ম্যাচটি ৩-২ গোলে জেতে প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি। ম্যাচের শেষ কিকে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস।

ব্রাইটন অবশ্য নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। পুরো ম্যাচে তাদের পাঁচটি চেষ্টা ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গত সপ্তাহে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছিল ইউনাইটেড।

জয়ে ফেরার লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টায় ছন্দ ছিল না ইউনাইটেডের খেলায়। উল্টো এই সময়ে তিনবার ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় তারা। স্বাগতিকদের তিনটি প্রচেষ্টা ফেরে পোস্টে লেগে।

৩৩তম মিনিটে ম্যাসন গ্রিনউড বল জালে পাঠালেও অফ সাইডের কারণে গোল পায়নি ইউনাইটেড।

৪০তম মিনিটে নিয়াল মাউপের সফল স্পট-কিকে এগিয়ে যায় ব্রাইটন। স্বাগতিক ডিফেন্ডার তারিক ল্যাম্পটিকে ফের্নান্দেস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

অবশ্য দুই মিনিট পরই লুইস ডাঙ্কের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে সফরকারীরা।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ব্রাইটনকে আবার পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। তবে ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত।

৫২তম মিনিটে মার্কাস র‌্যাশফোর্ড বল জালে পাঠালেও অফ সাইডের কারণে গোল বাতিল করেন রেফারি। দুই মিনিট পরই দলকে এগিয়ে নেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ডি-বক্সের ভেতর থেকে তার নেওয়া শট ব্রাইটনের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুবার পোস্টের বাধায় গোল পায়নি ব্রাইটন। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে সোলি মার্চের গোলে প্রায় পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে যাচ্ছিল তারা।

এরপরই সেই নাটকীয় মুহূর্ত। ডি-বক্সের ভেতর হ্যারি মাগুইয়ারের হেড মার্চ ক্লিয়ার করার পর ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। তবে হ্যান্ডবলের দাবি জানান ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা। রিপ্লেতে দেখা যায়, মার্চ বল ক্লিয়ার করার আগে মাউপের হাতে লেগেছিল। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ১০০তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে ইউনাইটেডের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন ফের্নান্দেস।

দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে আছে ইউনাইটেড। তিন ম্যাচে একটি করে জয়, ড্র ও হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ব্রাইটন। দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লেস্টার সিটি।

SCROLL FOR NEXT