খেলা

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ নেমেছে ইতালির ফুটবল

Byস্পোর্টস ডেস্ক

কভিড-১৯ রোগে যেন মৃত্যু উপত্যকা হয়ে গেছে ইতালি। প্রতি দিন বাড়ছে নতুন রোগী, বাড়ছে মৃত্যু। মৃত্যুর মিছিলে দেশটি ছাড়িয়ে গেছে চীনকে।

ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটি সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। গত ৯ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের খেলাধুলা।

ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার ব্লেইস মাতুইদিসহ ইতালিয়ান শীর্ষ ফুটবল লিগ সেরি আর বেশ কয়েকজন ফুটবলার আক্রান্ত হয়েছেন।

সমাজের প্রতিটা স্তরে পৌঁছে যাওয়া এই সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সহায়তা করছে ক্লাব, খেলোয়াড়, সমর্থক ও ক্লাবের মালিকেরা।

শহরের গীর্জাগুলোতে আট হাজার প্রোটেকটিভ গ্লাভস ও দুই হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছে রোমা। প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগকে তিন লক্ষ ফেস মাস্ক দিয়েছে ইন্টার মিলান।

ইন্টারের খেলোয়াড় ও স্টাফরা দান করেছে ৫ লক্ষ ইউরো। রোমা, এসি মিলান, ইউভেন্তুস ও ফিওরেন্তিনার ক্রাউডফান্ডিং ক্যাম্পেইন থেকে এসেছে চার লক্ষ ২০ হাজার ইউরোর বেশি।

আরেক ক্লাব লাৎসিও ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে জনগণকে বোঝাচ্ছে রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে, নিশ্চিত করছে, এটা অনুমোদিত ও নিরাপদ।

ব্যক্তিগতভাবেও এগিয়ে আসছেন অনেকে। এসি মিলানের সুইডিশ স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ শুরু করেছেন ‘কিক দা ভাইরাস অ্যাওয়ে’ ক্যাম্পেইন; যেখানে তিনি প্রথমেই দান করেছেন এক লক্ষ ইউরো। তার তহবিল আড়াই লক্ষ ইউরো ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া স্পাল স্ট্রাইকার আন্দ্রেয়া পিতানিয়া, নাপোলি অধিনায়ক লরেন্সো ইনসিনিয়ে, তোরিনো ফরোয়ার্ড সিমোনে জাজা ও ইউভেন্তুস উইঙ্গার ফেদেরিকো বের্নারদেস্কি মিলে দান করেছেন চার লক্ষ ৩০ হাজার ইউরোর বেশি।

রোগের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ নিরীক্ষণের জন্য রোমের একটি হাসপাতালে ১৫টি মেশিন দান করেছেন সাবেক ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ও রোমা কিংবদন্তি ফ্রান্সেসকো তত্তি।

দেশটির সবচেয়ে বড় দুটি নাম থেকে এসেছে সবচেয়ে বড় সহায়তা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তৃতীয় বিভাগের ফুটবল ক্লাব এসি মনসার স্বত্ত্বাধিকারী ও সাবেক এসি মিলান প্রেসিডেন্ট সিলভিও বেরলুস্কোনি ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট তৈরির জন্য দান করেছেন ১০০ কোটি ইউরো।

ইউভেন্তুস ফুটবল ক্লাব ও ফিয়েত ক্রাইসলার গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী এঞ্জেলি পরিবার জাতীয় স্বাস্থ্য খাতের প্রয়োজনীয় অর্থ দেবে। ইউভেন্তুস ঘোষণা দিয়েছে, ইতালির হাসপাতালের জন্য ১৫০টি কৃক্রিম শ্বাসযন্ত্র কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এই পরিবারের হোল্ডিং কোম্পানি এক্সোর।

SCROLL FOR NEXT