খেলা

আনন্দের সঙ্গে আক্ষেপও আছে মৌসুমীর

Byক্রীড়া প্রতিবেদক

নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গসালা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। গতবারের রানার্সআপদের জয়ে অপর গোলটি ৮৫তম মিনিটে করেন সাবিনা খাতুন।

প্রথমার্ধে মারিয়া মান্ডা, সিরাত জাহান স্বপ্না দুই প্রান্ত দিয়ে বারবার আক্রমণে উঠলেও ভুটানের রক্ষণ দেয়াল টপকাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডি-বক্সের জটলার ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করে স্বস্তি এনে দেওয়া মৌসুমী ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় জানালেন গোল পাওয়ার আনন্দ।

“আসলে দলের জন্য প্রথম গোল করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ওই সময় দলের জন্য গোলটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গোলটা অন্য কারো মাধ্যমেও হতে পারত। আমাকে দিয়ে সেটা হয়েছে বলে আমি খুশি।”

“দেশ থেকে আসার সময় আমরা সেমি-ফাইনাল লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, সেটা পূরণে আজকের জয়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিতেই আমরা সেই লক্ষে পৌঁছেছি। আমরা খুশি।”

“প্রতিপক্ষ সবসময় কঠিনই হয়। ভুটানকেও আমরা সহজভাবে নেইনি। তারা তাদের পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে আমরাও হাল ছেড়ে দেইনি। আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে গিয়েছি। শেষ মিনিট পর্যন্ত আমরা সেটা করতে পেরেছি বলেই জয় লাভ করেছি।”

নেপাল-বাংলাদেশ দুই দলের পয়েন্ট সমান ৩ করে। দুই দলের শনিবারের ম্যাচ ড্র হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে নেপাল হবে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন; বাংলাদেশ রানার্সআপ। সেক্ষেত্রে যদি ভারত ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয়, তাহলে শিরোপাধারীদের সঙ্গে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

ভুটানকে তাই বেশি গোল দিতে না পারার আক্ষেপ আছে কিনা এমন প্রশ্নে হ্যাঁ-না দুই রকম উত্তরই দিয়েছেন মৌসুমী।

“নেপাল এই গ্রুপের সেরা দল। ওরা ওদের সেরাটা দিয়েই প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩ গোলে হারিয়েছে। আমরাও সুযোগ তৈরি করেছিলাম কিন্তু গোলগুলো হয়নি। এই যা। আক্ষেপ আসলে নাই।”

“ভুটানকে যদি আমরা বেশি গোল দিতে পারতাম তাহলে নেপালের চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকতাম। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে আমরাই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারতাম। এখন সেই জায়গাতে আছে নেপাল।”

“মাঠ অসমান ছিল। বল হঠাৎ করে লাফিয়ে উঠছিল। এ কারণে আমাদের বল রিসিভ করতে সমস্যা হয়েছে। পাস দিতেও ‍ভুল হয়েছে। তাছাড়া প্রথম ম্যাচ বলে আমরা কিছুটা স্নায়ুর চাপেও ছিলাম।”

SCROLL FOR NEXT