গত অগাস্টে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। এর কিছুদিন পর থেকেই কিছু ফরাসি ও স্প্যানিশ গণমাধ্যমে খবর বের হতে থাকে, দল-বদলের সিদ্ধান্তে নাকি অনুতপ্ত এই ফরোয়ার্ড। এসব খবর ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না রোনালদোর।
“তার সঙ্গে এই বিষয়ে আমি আসলে কথা বলিনি। কিন্তু আমি মনে করি, এখানে তার সুখী হওয়ার মতো সবকিছুই আছে। সে চমৎকার এক শহরে আছে। সে এমন একটা দলে আছে যারা খুব ভালো খেলে, মৌসুমে তারা ভালোভাবে শুরু করেছে। হয়তো সে অনেক চাপে আছে; তবে সে এতে অভ্যস্ত।”
“সুখী হওয়ার জন্য তার সবকিছু আছে এবং আপনি মাঠে সেটা দেখতে পারেন। যখন সে নির্ভার হয়ে ও খুশি মনে খেলে তখন ফল আসে। সে বল নিয়ে দারুণ সব মুভ করে, সুন্দর গোল দেয়। সে ফুটবলে আনন্দ দেয়।”
ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে এ পর্যন্ত দুবার সেরা তিনে জায়গা পেয়েছেন নেইমার। সবশেষ ২০১৭ সালসহ দুবারই অবশ্য তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ব্রাজিলকে অলিম্পিকে সোনা জেতানো এই ফুটবলার।
ক্যারিয়ারে দুইবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন রোনালদো। ১৯৯৭ সালে ইন্টার মিলানে থাকার সময় প্রথম এবং ২০০২ সালে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে দ্বিতীয়বার পুরস্কারটি জিতেন তিনি। ওই বছরই দেশকে পঞ্চম বিশ্বকাপ জেতান বার্সেলেনার হয়েও খেলা এই তারকা স্ট্রাইকার।
সোমবার ২৬তম জন্মবার্ষিকী পালন করা নেইমারের পুরস্কারটি জেতার সম্ভাবনা নিয়ে রোনালদো বলেন, “আমার মতে, প্রতিবার সে ব্যক্তিগত পুরস্কারটি জেতার কাছে, আরও কাছে যাচ্ছে। যদিও সেরা ফুটবলারের মানদণ্ড পরিবর্তনশীল এবং দলগত পারফরম্যান্সের উপর অনেকটা নির্ভর করে, আমি নিশ্চিত, সে এটার কাছাকাছি আছে। ২০১৮ সালটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর। এ বছর রাশিয়ায় বিশ্বকাপ হবে যেখানে অনেক কিছু নির্ধারিত হবে।”
“আপনি যদি ফাইনালে একটা গোল করেন তাহলে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি জেতার দারুণ সম্ভাবনা থাকবে আপনার। তাই আমি তাকে সমর্থন করছি এবং আমার মতে, আগে বা পরে সে এটা জিতবেই। এ বছর না হলে আগামী বছর। কারণ সে দারুণ সম্ভাবনাময়ী খেলোয়াড়।”