খেলা

রক্ষণের ভুলে হার: টিটো

Byক্রীড়া প্রতিবেদক

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে এফসি পচেয়নের কাছে ২-১ গোলে হারে চট্টগ্রাম আবাহনী। ২৩তম মিনিটে মামুনুল ইসলামের কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন জামাল ভূইয়া। ৪৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাং ইয়ং ইক সমতা ফেরানের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এফসি পয়েচনকে এগিয়ে নেন পার্ক সিওং রিওল।

ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় চার ডিফেন্ডারে সাজানো রক্ষণভাগের ওপর দায় দেন টিটো।

“ভালো রক্ষণ ছাড়া ম্যাচ জেতা যায় না, সেটাই প্রমাণ হলো। এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সিলি মিসটেকে গোলগুলো খেয়েছি। বাঁ দিক দিয়ে ওরা বেশি আক্রমণ করছিল। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেককে খেলালেও আমরা সেটা আটকাতে পারিনি।”

“প্রতিপক্ষের খেলার যে স্টাইল, রোটেটিং, সুইচিং, তার সঙ্গে আমার খেলোয়াড়রা যতটা কাজ করেছি, ততটা মানিয়ে নিতে পারেনি। প্রথমার্ধের পর আমরা যে গোলটা খেলাম, নেপালের দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয় গোলটাও একইভাবে খেয়েছিলাম।

“আমরা সবসময় খেলার মধ্যে ছিলাম কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেও আমাদের সুযোগ ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়রা যদি ভুলে যায়, ভালোভাবে ডিফেন্ডিং না করে, তাহলে গোল খেলে ওই ম্যাচে ফেরা কঠিন।”

এগিয়ে যাওয়ার পর রক্ষণে বেশি মনোযোগী হওয়াটা মেনে নিচ্ছেন না টিটো। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার দৃষ্টিকটুভাবে সময়ক্ষেপণ নিয়ে ওঠা অভিযোগের দায় অবশ্য নিজের কাঁধে নিয়েছেন।

“আমরা রক্ষণাত্মক খেলিনি। আপনারা ঘুরেফিরে যে কথাটা বলছেন, আমরা নেগেভিভ ফুটবল খেলেছি। আমরা তো নেগেটিভ ফুটবল খেলিনি। ডিফেন্স যদি অটুট না রাখতাম, আমরা যদি ওপরে উঠে খেলতাম, তাহলে কি আমার জন্য সুবিধা হতো? আপনারা যদি মনে করেন, আমরা এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ডিফেন্সিভ হয়েছি, সেটা ভুল।

“এটা কোচের নির্দেশে কিনা বুঝতে হবে। প্লেয়ারদের যে অ্যাটিচিউড, সে দ্বায়িত্ব আমি নিব। যদি আমি তাদের নাও বলে থাকি কিন্তু তারা যদি করে থাকে, তাহলেও সে দায়িত্ব আমার।”

দক্ষিণ কোরিয়ার দলটিকে প্রংশসাও করেন টিটো। তবে রক্ষণের সেই ভুলের কথাও বলেছেন ‍ঘুরেফিরে।

“এখানে অন্য কথা আসতে পারে কিন্তু এটা মানতে হবে, আমাদের চেয়ে ভালো দলের কাছে হেরেছি।”

“যে পারফরম্যান্স করার দরকার ছিল, তা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু না করতে পারাটা অবশ্যই ব্যর্থতা। তার জন্য আমরা ছিটকে গেলাম। যদি আমরা একটু বুদ্ধি করে খেলতে পারতাম, রক্ষণটা যদি অটুট রাখতে পারতাম… ওই জায়গাতে মার খেয়েছি।”

প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ খুশি এফসি পচেয়ন কোচ কিম জায়ে ইয়ং। মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন স্থানীয় খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী এবং টিম ওয়ার্ক করা প্রয়োজন।

“আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, এটা একটা কঠিন ম্যাচ হবে। তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তো এই ধরনের ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠায় আমি খুশি। এখন আমরা শিরোপা জিততে চাই।”

“খেলোয়াড়দের মান ঠিক আছে কিন্তু আমার মনে হয়, (স্থানীয় ফুটবলারদের) শারীরিকভাবে আরও ভালো হওয়া এবং টিম ওয়ার্ক করা প্রয়োজন।”

আগামী শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মালদ্বীপের দল টিসি স্পোর্টসের মুখোমুখি হবে এফসি পচেয়ন।

SCROLL FOR NEXT