হাসপাতালে আশিকের স্বজনদের আহাজারি।

)<div class="paragraphs"><p>হাসপাতালে আশিকের স্বজনদের আহাজারি।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

টঙ্গীতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

Byগাজীপুর প্রতিনিধি

টঙ্গীতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

শনিবার রাতে টঙ্গীর পূর্ব থানার এরশাদ নগরের নীলাচল হাউজিং সোসাইটির প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম।

নিহত ২২ বছরের আশিক স্থানীয় বাসিন্দা সোলায়মান হোসেন সেলু মিয়ার ছেলে। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। 

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি আশরাফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে আশিককে জানানো হয়, এক ব্যক্তিকে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাকে আশিক চেনে কি না, শনাক্ত করার জন্য নীলাচল হাউজিং সোসাইটির প্রকল্প এলাকায় ডাকা হয় আশিককে।

পরে আশিক তার দুই বন্ধু বেলাল ও রাব্বিকে নিয়ে প্রকল্প এলাকায় যান। সেখানে কয়েকজন লোক তাদের হামলা করতে গেলে বেলাল ও রাব্বি পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা আশিককে লাঠি-সোটা দিয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আশিকের চিৎকারে প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে আশিকের পরিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। 

খবর পেয়ে পুলিশ আশিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে আশিকের ক্ষুব্ধ বন্ধুরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করেছেন বলে জানান টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেলের হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ হাসপাতালে আশিকের লাশ নিয়ে আসে। এসময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে আশিকের কয়েকজন বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী আশিকের হত্যাকারী সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহত কয়েকজন যুবকের ওপর হামলা চালায়। তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের জানালার গ্লাসও ভাঙচুর করে। পরে তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। 

ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা হয়নি। তবে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতেই নয় জনকে আটক করা হয়েছে।

SCROLL FOR NEXT