সমগ্র বাংলাদেশ

বন্যা: সুনামগঞ্জে বোরো ধান নিমজ্জিত, শতাধিক পুকুর প্লাবিত

Byকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সুরমা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার কমলেও বুধবার দুপুরে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ছাতক ও সুনামগঞ্জ শহরের প্লাবিত কিছু এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে আরও নিচু এলাকায় এই পানি এখনও রয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবহাওয়া ও বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ শামসুদ্দোহা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ আসাম, মেঘালয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে নদ নদীর পানি আবারও বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বর্ষণ ও ঢল না থাকায় সুরমা নদীর পানি কমেছে। গতকাল যে এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছিল তা থেকেও পানি নামছে। এই পানি এখন ভাটিতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করে কাচা রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও ছাতক উপজেলার প্রায় ৭২০ হেক্টর জমির পাকা ইরি বোরো ধান নিমজ্জিত হয়েছে। পানি না নামলে এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

তবে কৃষকরা নিমজ্জিত ক্ষেতের ধান কেটে তোলার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মণ্ডল জানান, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৫৮টি পুকুরসহ পাঁচটি উপজেলার প্রায় শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কিছু খামারের মাছও ভেসে গেছে।

“আমরা উপজেলা কর্মকর্তাদের প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।”

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “বন্যা সতর্কতার জারির পর আমরা মন্ত্রণালয়ে ত্রাণ পাঠানোর চিঠি দিয়েছিলাম। বুধবার আমাদেরকে নগদ ১০ লাখ টাকা, ২০ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ এসেছে। এর আগে আমরা নগদ আড়াই লাখ টাকা ও ১৫ মেট্রিকটন চাল বন্যার্তদের বিতরণের জন্য পাঠিয়েছি।”

SCROLL FOR NEXT