সমগ্র বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে বিজয় শোভাযাত্রায় আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

Byকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার সকালে বাজিতপুর পৌর এলাকার টিঅ্যান্ডটি কার্যালয়ের সামনের সড়কে সংঘর্ষ হয়।

বিএনপির অভিযোগ, ‘হামলায়’ তাদের অন্তত আট জন আহত হয়েছেন এবং তাদের দুটি কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের রেজু মার্কেট থেকে বিএনপি বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি সিনেমা রোড ও বাঁশমহল হয়ে টিঅ্যান্ডটি সড়ক অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রার মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে দুই দলের নেতা-কর্মীরা পরস্পরের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ আশাপাশের এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। আধ ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে শহরের চালমহল এলাকায় পৌর বিএনপি ও বাজিতপুর বাজার এলাকায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাজিতপুর পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ বলেন, বিএনপি উদ্দেশ্যমূলকভাবে শোভাযাত্রা বের করেছিল। তাদের মিছিল থেকে নোংরা ও উস্কানিমূলক শ্লোগান দেওয়া হয়।

“আমাদের কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।”

তবে ‘নোংরা’ ও ‘উস্কানিমূলক’ শ্লোগান দেওয়ার কথা অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “আওয়ামী লীগের কর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছে এবং দুটি অফিস ভাঙচুর করেছে।”

হামলায় তাদের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তার অভিযোগ।

এদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন মিয়া, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল, বাজিতপুর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ, জেলা যুবদলের সদস্য সাদ্দাম হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য হৃদয় আহমেদ।

আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে তিনি জানান।

বাজিতপুর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুই দলের কর্মীদের মাঝে সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

SCROLL FOR NEXT