বুধবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় অ্যাপালো ক্লিনিকের পর্যবেক্ষণ কক্ষে এ বিস্ফোরণে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ মো. রাজিবের (২৭) বাড়ি বরিশালে এবং মো. হৃদয়ের (২০) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায়। তারা দুইজনই ওই ক্লিনিকে থাকেন।
ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন জানান, অবজারভেশন সিলিন্ডারের সাথে মিটার সংযুক্ত করার সময় মিটার বিস্ফোরণ হয়ে দুই ওয়ার্ড বয় দগ্ধ হন, তবে তখন সেখানে কোনো রোগী ছিল না।
“রাজিবের শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। হৃদয়কে এ ক্লিনিকে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী এ ক্লিনিকের এক নার্স জানান, দুপুরে অপারেশন থিয়েটার থেকে এক প্রসূতির সিজার অপারেশন শেষে তাকে অবজারভেশন রুমে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। এজন্য রাজিব ও হৃদয় অবজারভেশন রুমটি প্রস্তুত করার কাজ করছিলেন।
এক পর্যায়ে রুমের ভেতরে বিকট শব্দ হলে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে দুই ওয়ার্ড বয় আহত অবস্থায় পড়ে আছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক এসে দগ্ধ দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে রাজিবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দিলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।
তবে মালিকপক্ষেরও কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিকেল পর্যন্ত পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের কেউ দুর্ঘটনাস্থলে যায়নি।