সমগ্র বাংলাদেশ

‘মুজিব শতবর্ষ পার্ক’ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়

Byশেখ মফিজুর রহমান শিপন

জেলা সদর থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটারের দূরে মধুমতি নদীর তীরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরে এই পার্কের অবস্থান।

এক সময়ের স্যাঁতসেঁতে আর জংলা পরিবেশ পাল্টে এখন সেখানে শোভা ছড়াচ্ছে বিনোদনের নানা আয়োজন।

গত শুক্রবার ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন বুলবুল এর উদ্বোধন করেছেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত না হয়নি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদ এলাহী, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই পুরো বিষয়টি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদের।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ জন ইউএনও এখানে এসেছেন আর গেছেন। বেশিরভাগই ভারপ্রাপ্ত। কেউ ছমাসের বেশি থাকতে চান না। বিষয়টি নিয়ে ভাবার পরে দেখলাম আসলে এখানকার পরিবেশ পছন্দ না হওয়ায় তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখানে থাকতে চাইতেন না। সেজন্য পরিবেশ উন্নয়নের এই চেষ্টা।

দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর সকলের আন্তরিকতায় এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত ইসলাম বলেন, “পার্কটি বাস্তবায়নে অন্যান্য উপজেলার মডেল দেখে সুবিধামাফিক পরিকল্পনা নিয়েছি।”

সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকা একটি মজা পুকুর সংস্কারের সঙ্গে পুরনো ও জীর্ণ গাছপালা ছেঁটে সেখানে পরিকল্পিত বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কংক্রিটের সরু পথ করে দুই পাশে গুল্ম জাতীয় গাছ রোপনের মাধ্যমে হাঁটাচলার জন্য মনোমুগ্ধকর পথ করা হয়েছে। পুকুরের মাঝে বসানো হয়েছে পানির ফোয়ারা, সন্ধ্যায় যেটি পুরো পরিবেশকে আলোঝলমল করে তোলে। পাড় ঘেঁষে বসানো হয় বেঞ্চ। উদ্যানের খোলা জায়গায় শিশুদের খেলাধুলা ও আনন্দের জন্য দোলনা, ঘূর্ণায়মান চর্কা, বোটসহ আরও কিছু উপকরণ রয়েছে।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, শহরের বাইরে গ্রামীণ পরিবেশে এমন আধুনিক একটি নয়নাভিরাম পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিশেষ করে শিশু ও পরিবার নিয়ে একটু নির্মল সময় কাটানোর পরিবেশ রয়েছে এখানে। দেখে মনে হচ্ছে পুরো পরিকল্পনাটি সম্পন্ন করা হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে।

আলফাডাঙ্গা ইউএনও মো. তৌহিদ এলাহী বলেন, এই পার্ক বাস্তবায়নের কারণে এখানকার সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। ভৌগলিকভাগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রথম কোনো বিনোদন এলাকা এটি। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার উপযোগী রাখতে সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে।

SCROLL FOR NEXT