সমগ্র বাংলাদেশ

কোভিড: রাজশাহীতে আইসিইউ বেড ২০টি, অপেক্ষায় ৭০ রোগী

Byরাজশাহী প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ আইসিইউ ২০ বেডের সবকটিতে রোগী ছিলেন। এদের মধ্যে ১২ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে, বাকিদের উপসর্গ রয়েছে।

এ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, এই আইসিইউ বেড পেতে আবেদন করে অপেক্ষা রয়েছেন আরও ৭০ জন রোগী।

তিনি বলেন, আইসিইউতে থাকা রোগীদের কারও একটু উন্নতি হলেই তাকে বের করে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ মারা গেলে বেড খালি হচ্ছে। তারপর ক্রমিক অনুযায়ী ফোন করে আইসিইউতে রোগী ডাকা হচ্ছে।

প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ জন পর্যন্ত রোগীকে আইসিইউতে নেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “সেই হিসেবে ক্রমিকের ৭০ নম্বর রোগীকে আইসিইউ পেতে অপেক্ষা করতে হবে এক সপ্তাহের বেশি।”

এ হাসপাতালে প্রথমে ১০টি করোনা ডেডিকেটেড আইসিইউ বেড ছিল। তা যথেষ্ট না হওয়াও বাড়াতে বাড়াতে ২০টি বেড করা হয়েছে।

সর্বশেষ গত সোমবার দুটি বেড বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি, “এই মুহূর্তে আমাদের আইসিইউ বাড়ানোর মত আর স্ট্র্যাকচারাল ক্যাপাসিটি নেই। যা ছিল সবই করলাম। এখন আইসিইউ বেড ২০টি।”

তিনি জানান, করোনা রোগীদের জন্য একের পর এক সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়। এখন এ হাসপাতালের ২৯-৩০, ৩৯-৪০, ২৫, ২২, ২৭, ১৬, ১৫, ৩ এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়া কেবিনে ১৫টি বেড আছে। সব মিলিয়ে এ হাসপাতালে ৩০৯টি বেডে এ রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। এছাড়াও ওই ওয়ার্ডগুলোতে অতিরিক্ত আরও ১৫টি বেড দেওয়া হয়েছে।

শামীম ইয়াজদানী বলছেন, “যত দ্রুত রোগী বাড়ছে, তত দ্রুত সক্ষমতা বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এছাড়া করোনা রোগীদের জন্য নতুন নতুন ওয়ার্ড ছেড়ে দেওয়ার কারণে অন্য রোগের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেন তিনি।

উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এ হাসপাতালে মোট ১ হাজার ২০০টি শয্যা আছে। এখানে রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং চুয়াডাঙ্গার রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। আর কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভীড় আরও বেড়েছে।

SCROLL FOR NEXT