সমগ্র বাংলাদেশ

ফরিদপুরের রুবেল-বরকতের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

Byফরিদপুর প্রতিনিধি

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তম বিশ্বাস জানান, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন [সংশোধনী-২০১৫] এর ৪ (২) ধারায় এই মামলা করা হয়।

এই ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, আদালত সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের পাঁচ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে ওই দুই ভাইসহ এই ঘটনায় জড়িত মোট পাঁচজনের ৮৮টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা জব্দ করার আদেশ দেয় আদালত।

“আদালত ওই দুই ভায়ের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস,  ট্রাক ও ব্যাক্তিগত গাড়ি ক্রোক করারও আদেশ দিয়েছে। সিআইডি দুই ভায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সময় অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে এই বাস,  ট্রাক ও ব্যাক্তিগত গাড়ি জব্দ করে জেলার পুলিশের জিম্মায় দিয়ে যায়।”

গত বছরের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ী সড়কে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই বছরের ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগত আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

গত বছরের ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরস্থ আফসানা মঞ্জিলসহ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদ হোসেন ও ইমতিয়াজ হাসানসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

পরবর্তীতে একই মামলার আসামি হিসেবে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিশান মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
SCROLL FOR NEXT