সমগ্র বাংলাদেশ

উপকেন্দ্রে মেরামত হয়নি, এখনও বিদ্যুৎহীন ছয় লাখ গ্রাহক

Byকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আম্পানের তাণ্ডবে জেলার ক্ষতিগ্রস্ত সব লাইন মেরামত করা হলেও পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমার পুনরায় স্থাপন করতে না পারায় জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইহদহ ও রাজবাড়ীর আংশিক মিলে প্রায় ছয় লাখ গ্রাহক এখনও বিদুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন বলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) কুষ্টিয়া অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানিয়েছেন।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মো. মাসুম আলম বকসী বলেন, “বুধবার রাত ১০টার দিকে বটতৈল এলাকার ওই উপকেন্দ্রে আগুন লাগে। তাতে দুটি ট্রান্সফরমারে একটি সম্পূর্ণ, অন্যটির বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

ওই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আগুন লাগার পরে শুরু হয় আম্পানের তাণ্ডব। ফলে মেরামত শুরু করতেও বিলম্ব হয় বলে জানান প্রকৌশলী মাসুম।

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ দলসহ শতাধিক টেকনিশিয়ান ট্রান্সফরমার মেরামত ও পুনঃস্থাপন করতে বিরতিহীন কাজ করে যাচ্ছেন।”

তবে কতক্ষণে মেরামত শেষ হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি নির্বাহী পরিচালক।

ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রণবচন্দ্র দেবনাথ বলেন, আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ইতোমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। এখন গ্রিড স্টেশন সচল হলে এবং বিতরণ ফিডার লাইনের সংযোগ পেলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে।

কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর শুক্রবার বেলা ২টা থেকে বিকল্প প্রক্রিয়ায় কিছু এলাকায় অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সোহরাব আলী বিশ্বাস বলেন, “কুষ্টিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা করতে আমরা বিকল্পভাবে ভেড়ামারা থেকে একটি বাইপাস লাইন ব্যবহার করে কিছুটা বিদ্যুৎ আনছি। জরুরি ভিত্তিতে কুষ্টিয়া শহর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সরবরাহ করছি। চাহিদার তুলনায় এটা একেবারেই সামান্য।”

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “কুষ্টিয়াতে রিকভার করতে আরও ২/৩ দিন সময় লাগবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সাবস্টেশন ঠিক করার আগেই সেখানে জরুরি মুহূর্তের কাজ চালানোর মতো বিদ্যুৎ দিতে। কুষ্টিয়ায় এখনই বড় আকারের বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না।”

SCROLL FOR NEXT