সমগ্র বাংলাদেশ

রাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Byরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

সোমবার সন্ধ্যায় নগরের আমজাদের মোড় এলাকার একটি মেসে নিজ কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান।

মৃত ফিরোজ কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি গাইবান্ধার সদরের খানকা শরীফ এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে।

ফিরোজের কক্ষটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশের ধারণা, ফিরোজ আত্মহত্যা করেছেন।

মেসের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, বিকাল থেকে ফিরোজ অনেক সময় ধরে রুম থেকে বের হচ্ছিল না। ডাকাডাকির পরও সাড়া না দিলে বিষয়টি তাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এরপর পুলিশকে জানায় তারা।

ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। তার বাসায় খবর দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ময়নাতদন্তের পর তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ফিরোজের সহপাঠী রনক বলেন, “ফিরোজ খুব কম মিশত সবার সঙ্গে। সে শান্তশিষ্ট ছিল। শুনেছি আমজাদের মোড়ের ওই মেসে সে সিঙ্গেল রুমে থাকতো। তবে সে কোনো সমস্যায় হয়ত ভুগত। স্যারদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখেছি।”

তারও ধারণা, ফিরোজ হয়ত আত্মহত্যাই করেছে।

ফিরোজের বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু বকর প্রামাণিক বলেন, “ছেলেটা খুব মেধাবী ছিল। ডিপার্টমেন্টে তার পজিশন দ্বিতীয়। সে ক্লাসে দ্বিতীয় বেঞ্চে বসত। একবার দেখলাম, সে খুব নার্ভাস। পরে তাকে বললাম, তুমি কি অসুস্থ?

“ক্লাস শেষে সে বলল- আমার মানসিকভাবে কেমন যেন লাগে। পরে তাকে আমি মানসিক ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিই।”

আবু বকর বলেন, তার অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল। সেটা সমাধানস্বরূপ তাকে একটি টিউশনির ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলাম। তারপর ছেলেটাকে চনমনেই মনে হয়েছে আমার।

“তবে তার সঙ্গে আমার দুই মাস ধরে যোগাযোগ নেই। কারণ ওদের ক্লাস শেষ হয়ে গেছে। কাল ওদের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। তার মৃত্যুর খবর আমাকে খুব ব্যথিত করেছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে আমি পুলিশ, ফলিত গণিত বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকদের জানাই। এরপর দুইজন সহকারী প্রক্টরসহ ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে।”

SCROLL FOR NEXT