সমগ্র বাংলাদেশ

বগুড়ায় স্ত্রী-পুত্রসহ সেনাসদস্য ‘নিখোঁজ’

Byজিয়া শাহীন

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই সেনাসদস্যের ছোটো ভাই শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

নিখোঁজ হৃদয় (৩১) শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের পরানবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।

হৃদয়ের ছোটো ভাই রানা সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে তার বড়ো ভাই হৃদয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত।

তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর ১০ দিনের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেন। ১০ অক্টোবর দুপুরে তিনি স্ত্রী ও ৬ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের বামুনীয়া খিয়ারপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান।

“পরদিন হৃদয়ের শ্বশুর রবিউল ইসলাম হৃদয়ের বাড়ি এসে একটি এলইডি টিভিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভ্যানবোঝাই করে নিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়ে চলে যান।”

রানা বলেন, এরপর হৃদয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এরপর ১৮ অক্টোবর যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে কয়েকজন সেনাসদস্য বাড়ি এসে হৃদয়ের খোঁজ করেন বলে রানা জানান।

তখন হৃদয়ের শ্বশুরবাড়ি খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানেও তিনি নেই।

শ্বশুরবাড়ির লোকজনও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে হৃদয়ের শাশুড়ি বিলকিছ বেগম বলেন, ১০ অক্টোবর দুপুরে মেয়ে ও জামাই তার বাড়িতে আসেন এবং ওইদিন সন্ধায় খাওয়া-দাওয়া শেষে আবার তারা বাড়ি চলে যান।

“এখন ফোন বন্ধ থাকায় মেয়ে-জামাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।”

মেয়ে-জামাইয়ের খোঁজ না পেয়ে তারাও থানায় জিডি করেছেন বলে জানান বিলকিছ।

তাছাড়া মেয়ে-জামাইয়ের বাড়ি থেকে এলইডি টিভি নিয়ে আসার কথা অস্বীকার করেছেন বিলকিছ

শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দীন বলেন, নিখোঁজ সেনাসদস্যের সন্ধান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ টুকু বলেন, “হৃদয়ের একটি গরুর খামার ছিল। খুরা রোগে একটি গরু মারা গেলে অপর ৭-৮টি গরু তিনি খুব কম দামে বিক্রি করে দেন। এতে অনেক টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন।”

এসব কারণে তিনি আড়ালে চলে গিয়ে থাকতে পারেন।

SCROLL FOR NEXT