সমগ্র বাংলাদেশ

নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল বন্ধ ঘোষণা

Byনোয়াখালী প্রতিনিধি

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, “সংঘর্ষের পর ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র (চালু হয়েছে) ছাত্রাবাস ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।”

এই পরিস্থিতিতে সোমবার ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ওই হলের প্রভোস্ট কাওসার হোসেন বলেন, শনি ও রোববার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হলটিতে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে।

“এ ঘটনায় আমাকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এবং কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান গাজী মো. মহসিনকে প্রধান করে সাত সদস্যে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উভয় কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা জানান, সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রবিন ও সাধারণ সম্পাদক ধ্রুবর সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এনিয়ে রোববার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে রাত ৮টার দিকে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ক্যাম্পাসে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে শিক্ষকসহ কয়েকজন আহত হন।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ফিরোজ আহমদ, বঙ্গবন্ধু মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন ও দুই শিক্ষার্থীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আবদুল মালেক উকিল হল ও বঙ্গবন্ধু মুজিব হল এখনও চালু হয়নি।

SCROLL FOR NEXT