বুধবার বেলা ১২টার দিকে তিনি এই আবেদন করেন। ভিসি রোস্তম আলী ফরাজী দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেছেন।
প্রো-ভিসি আনোয়ারুল অভিযোগ সম্পর্কে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভিসি স্যার সকালে এক সিদ্ধান্ত নেন, বিকেলে আবার সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন। বর্তমানে এখানে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। এ অবস্থায় আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।”
আনোয়ারুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। তিনি চার বছরের জন্য ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর পাবিপ্রবিতে যোগ দেন।
ভিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আনোয়ারুল বলেন, “ভিসি তার সরকারি বাঙলোকে রেস্ট হাউজ হিসেবে মাসিক তিন হাজার ৮০০ টাকায় ভাড়া দেখান। কিন্তু সেটি কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। এমনকি কো-এক্সটারনাল এলেও তাদের এখানে থাকতে দেওয়া হয় না।
“বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ভিসি স্যার অনুপস্থিত থাকেন। ফলে সব ঝামেলা আমাকে পোহাতে হয়। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দুই দল শিক্ষকের হাতাহাতি হয়। ভিসি স্যার এসব সমস্যায় কর্ণপাত করেন না।”
শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ সম্পর্কে প্রো-ভিসি বলেন, “দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আমাদের এই ভিসি স্যার।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ভ্রহ্ম প্রো-ভিসির নির্দেশ অমান্য করেন বলেও তার অভিযোগ।
প্রো-ভিসি আনোয়ারুল বলেন, “তাই আমি মনে করি এখানে একদমই কাজের পরিবেশ নেই।”
এ বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার বলেন, “আমার কোনো ক্ষমতা নেই। এখানে ভিসি স্যার সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তার বাইরে আমি যেতে পারি না।”
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় অভিযোগ করেন, “প্রো-ভিসি স্যারের যাওয়ার জায়গা আছে বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। অন্য কোথাও সুযোগ থাকলে আমি নিজেও এখানে থাকতাম না।
“সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন নিয়ে ভিসি স্যার হস্তক্ষেপ করার কারণে নির্বাচন স্থগিত করে রেখেছেন নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই করুণ।”
এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ড সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, “পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাবিধ অস্থিরতা বিরজ করছে। প্রো-ভিসি স্যারের পদত্যাগ এরই সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।”
এ বিষয়ে ভিসি রোস্তম আলী বলেন, সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ভ্রহ্মর সাথে প্রো-ভিসির একটু ঝামেলা হয়েছে। এটি বসেই সমাধান করা যেত। আমি প্রো-ভিসিকে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য বলেছি। এটি পদত্যাগ করার মত কিছু নয় বলে আমি মনে করি।”
তবে অন্যান্য অভিযো তিনি অস্বীকার করেছেন।