সমগ্র বাংলাদেশ

পূজায় সরকারি অনুদানের চাল বিতরণে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ

Byনীলফামারী প্রতিনিধি

জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বারী মধুপুর সেনপাড়া মণ্ডপের সভাপতি অনীল সেন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি চাল বারদ্দ দিয়েছে সরকার।

“উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের এক সভায় আমরা সবাই উপস্থিত থেকে বরাদ্দ চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। প্রতি কেজি চাল ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ৫০০ কেজি চালের দাম হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিপ্লব সরকার দিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফণীভূষণ মজুমদার চাল বিক্রির টাকা থেকে এক হাজার টাকা করে রেখে নয় হাজার করে টাকা ধরিয়ে দেন।”

বটতলা সর্বজনীন মণ্ডপের সভাপতি সুকুমার রায় একই অভিযোগ করেন, “দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য চারটি সভা করতে খরচ হয়েছে দাবি করে এক হাজার করে টাকা রেখে দিয়েছেন বিপ্লব ও ফণীভূষণ।

“চারটি সভার নামে তারা ১৪৯টি মণ্ডপ থেকে এক লাখ ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।”

তবে ফণীভূষণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ পরপর চারটি সভা করেছে। ওই সভায় ১৪৯টি মণ্ডপ কমিটির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাদের আপ্যায়ন বাবদ কিছু খরচ হয়েছে। এছাড়া পরিষদের উদ্যোগে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপনেও বেশ কিছু খরচ হয়েছে। এসব ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিটি মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ তাদের চাল বিক্রির অর্থ থেকে স্বেচ্ছায় ৫০০ থেকে ৭০০ করে টাকা দিয়েছেন আমাদের হাতে। জোর করে কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। এক হাজার করে টাকা আদায়ের বিষয়টি ঠিক না।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “উপজেলার ১৫৩টি মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ ছিল। চারটি মণ্ডপ পূজা করবে না বলে জানিয়েছে। অন্য ১৪৯টি মণ্ডপের নামে ৫০০ কেজি করে চালের আলাদা ডিও প্রত্যেক মণ্ডপ কমিটির হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।”

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন যেহেতু শুনলাম, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

নীলফামারীতে এ বছর ৮৫৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে জানিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান বলেন, সব মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সবাই চাল উত্তোলন করেছেন। কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

SCROLL FOR NEXT