সমগ্র বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

Byগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন বলে গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান তরুণ মণ্ডল জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গত সাত দিনে গোপালগঞ্জ শহর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীর ৫১০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর চাপে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সিট খালি পাওয়া যাচ্ছে না; ফলে অনেক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আবার এক বেডে দুই রোগীকে গাদাগাদি করেও থাকতে দেখা গেছে।

হঠাৎ রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তবে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ‘দায়সারাভাবে’ চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ করেছে রোগী ও স্বজনরা।

জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রুহুল আমিন বলেন, “দিনে অন্তত দুইবার চিকিৎসকের আসার কথা।কিন্তু আসছেন মাত্র একবার।তারা দায়সার চিকিৎসা দিচ্ছেন।”

মাসুদা বেগম বলেন, হাসপাতালে ভর্তির সময় জরুরি বিভাগ থেকে যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে, নার্স সেভাবেই চিকিৎসা করছেন। ডাক্তাররা আসছেন কম।

এছাড়া নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ডায়রিয়া ওয়ার্ডে একটু নোংরা থাকতে পারে।আমরা লোকবল দিয়ে পরিষ্কার করে দিচ্ছি।দিনে দুই বার চিকিৎসকরা রাউন্ডে যাচ্ছেন।”

পাশাপাশি হাসপাতালে ডায়রিয়ার পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে।সেখান থেকে রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড গরম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কারণে জেলার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ পরিস্থিতিতে সবাইকে নিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

SCROLL FOR NEXT