শনিবার সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের টার্গেট ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে আর কোনো দরিদ্র লোক থাকবে না। আশা করছি ২০২৪ সালে সে অবস্থায় পৌঁছব।”
সব দেশেই দরিদ্র লোক থাকে। বাংলাদেশেও থাকবে। সাত শতাংশ মানুষ নানা কারণে রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল থাকে, বলেন মুহিত।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া তাদের দেশকে দারিদ্র্য মুক্ত করে রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীলতার হার সাত শতাংশে নিয়ে এসেছে।
“যদিও বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয়, তবুও বাংলাদেশ তা পারবে।”
সরকার গ্রাম ও শহরের মানুষের জীবনযাত্রার পার্থক্য কমিয়ে আনতে কাজ করছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সরকার। দেশের ৬০-৭০ শতাংশ এলাকা এখন উন্নত। এটা কোনো মতেই সম্ভব হতো না যদি না সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামে সেটা বিস্তৃত করতে না পারতাম।”
২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সব এলাকায় বিদ্যুতায়ন হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সর্বত্র বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হবে। যদিও আমাদের টার্গেট ছিল ২০২৪ সাল।”
বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকের ৪০ বছর পদার্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মুদাচ্ছের আলী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সীমান্তিকের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ আল কবির, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।