সমগ্র বাংলাদেশ

রূপা হত্যার দ্রুত বিচার চান এলাকাবাসী

Byসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

এ দাবিতে রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রেসক্লাব চত্বরে ঢাকাস্থ তাড়াশ সমিতি মানববন্ধন করেছে।

গত ২৫ অগাস্ট রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে লাশ টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রাখে।  

মানবন্ধনে সমিতির সদস্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

প্রায় দুই ঘণ্টার এই মানববন্ধনে বক্তারা রুপা হত্যার বিচার দ্রুত বিচার আইনে করাসহ দরিদ্র এ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ছোঁয়া পরিবহনের মালিককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী, ঢাকাস্থ তাড়াশ সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আজিম হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাজু, যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন, যুবদল নেতা মহাব্বত উল্লাহ, শাহানশাহ তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল ইসলাম, প্রভাষক শাহিনুর রহমান লিটন প্রমুখ।

ঈদের আগের দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নিহত রূপার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার ছোট বোনকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং নগদ অর্থ সহায়তা করেন।

এ সময় আয়োজিত স্মরণসভা থেকেই আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন স্বাস্হ্যমন্ত্রী।

ওই সময় আইন মন্ত্রী আনিসুল হক মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে হস্তান্তরের আশ্বাস দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে।

২৫ অগাস্ট রাতে মধুপুর থানার পুলিশ রূপার লাশ উদ্ধার করে। পরদিন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওইদিনই টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়। গত সোমবার রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান পত্রিকায় সংবাদ দেখে মধুপুর থানায় গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে আদালতে অনুমতি নিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে রূপার লাশ তুলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

SCROLL FOR NEXT