এই রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিদের প্রধান বিচারপতির সমালোচনার মধ্যে আইনমন্ত্রী বলছেন, আইনিভাবে তা মোকাবেলা করবেন তারা।
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এই রায়ে বলা আছে, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ ব্যানানা রিপাবলিক বানিয়েছিলেন। রায়ে সত্যকথা এটুকুই আছে।”
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
তাতে ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে রায়ে সংক্ষুব্ধ সরকারি দল কড়া সমালোচনা করছে। তবে বিএনপি এ রায়কে বলছে ‘ঐতিহাসিক’।
তবে এ বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া নিয়ে ‘চিন্তিত নন’ জানিয় আনিসুল হক বলেন, “বিএনপি প্রধানসহ তাদের সবাই আইন ভঙ্গ করেন। যে কারণে তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে বিশ্বাস করা যায় না।”
বঙ্গবন্ধু খুনিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা চলছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আরেক আলোচনা সভায় জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
“যাদের রায় কার্যকর করা হয়েছে তাদের সম্পত্তি খুঁজে বের করা হচ্ছে। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু খুনিদের সম্পত্তি আইনিভাবে বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সভায় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম জি হাক্কানি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঁইয়া, পৌরসভা মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদের সদস্য মোশাররফ হোসেন ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।