সমগ্র বাংলাদেশ

কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Byগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

কোটালীপাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম গত ১৭ জুলাই পৌরসভার মেয়রকে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, কোটালীপাড়া পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আকলিমা বেগমের সুপারিশে গত ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলবাড়ি গ্রামের করিম খলিফার মেয়ে তাসলিমা খানম বিধবা ভাতা পাচ্ছেন।

টাকার বিনিময়ে তাসলিমাকে বিধবা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন আকলিমা।  ২০১৪  সাল থেকেই ভাতার টাকা আকলিমা গ্রহণ করছেন।  

গত ২৭ এপ্রিল তাসলিমাকে কোটালীপাড়া পৌরসভার প্রতিবন্ধীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের সুপারিশ করেন আকলিমা।

বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানে সঠিক ব্যক্তিকে বছাই না করে ওই কাউন্সিলর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি মারত্মকভাবে ব্যাহত করছেন বলে চিটিতে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে তাসলিমা বলেন,“এখনও আমার বিয়ে হয়নি। আমি প্রতিবন্ধীও নই। টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলর আকলিমা আমাকে বিধবা ভাতার কার্ড পাইয়ে দেন।”

ভাতার টাকা তিনি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করলেও সব টাকাই আকলিমা গ্রহণ করেন। আকলিমা কোনো টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেন।  

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, “বিধবা ভাতা প্রাপ্ত তাসলিমাকে প্রতিবন্ধীর তালিকাভুক্ত করার পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।”

এরপর তদন্তে টাকার বিনিময়ে বিধবা ভাতা দিয়ে কউন্সিলার আকলিমা টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “আকলিমা নয়টি ভুয়া জাতীয়তা পরিচয়পত্র (আইডি) দেখিয়ে নয়জনকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করেন। নির্বাচন অফিসে যাচাইবছাইয়ে দেখা যায়, সেখানে বয়স্ক ভাতার আবেদনকারীদের বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আকলিমা বলেন, “তাসলিমা অসহায় ও দুঃস্থ বলে অবিবাহিত হওয়া স্বত্ত্বেও  সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করে একটি বিধবা কার্ড পাইয়ে দিয়েছি; যাতে তিনি ভাতা গ্রহণ করতে পারেন। সে প্রতিমাসে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিত। আমি কখনও তার টাকা গ্রহণ করিনি।”

তিনি বলেন, “তাকে প্রতিবন্ধী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা আমার ভুল হয়েছে। এলাকার বয়স্কদের ভাতা দেওয়ার জন্য আমি সুপারিশ করেছিলাম। ভাতা পেতে আবেদনকারীরা আইডি কার্ডে তাদের বয়স বাড়িয়ে দিয়েছে।”

কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি পৌর সভার সীমানা জটিলতা মমলা সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় আছি। এ কারণে সমাজ সেবার চিঠি আমি হাতে পাইনি। তবে আকলিমা বেগম ঝামেলায় পড়েছেন বলে শুনেছি।”

এ ব্যাপারে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে, বলেন তিনি।

SCROLL FOR NEXT